কলকাতা: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের পর এবার জেরার জন্য ইডির দপ্তরে হাজির হলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়৷ আজ সকালে তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দেন৷ সূত্রের খবর, রোজভ্যালি কর্তার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, তিনি ওই সংস্থার থেকে কোনও অর্থ নিয়েছিলেন কি না, তাও জানতে চাওয়া হতে পারে বলে বলে খবর৷
ইডি সূত্রে খবর, রোজভ্যালি প্রোডাকশনের ব্যানারে তৈরি ‘মনের মানুষ’ ও ‘হ্যাংওভার’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়৷ ২০১০-২০১৪ পর্যন্ত রোজভ্যালির সঙ্গে কাজ করে প্রসেনজিতের প্রযোজনা সংস্থা। রোজভ্যালির সঙ্গে সেই সংস্থার আর্থিক লেনদেনও হয়। সে ব্যাপারে অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর টাকায় একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্নরকম আর্থিক সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন টলিউডের প্রথম শ্রেণির এক জনপ্রীয় নায়িকা৷ তদন্তকারী অফিসারদের কাছে এমনই একাধিক প্রমাণ রয়েছে ওই নায়িকার বিরুদ্ধে৷ ওই অভিনেত্রীর সূত্র ধরে প্রসেনজিৎকে জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর৷
এক প্রথমসারির নায়িকা ও একাধিক প্রযোজকের নাম জড়িয়ে যায় রোজভ্যালিকাণ্ডে৷ এই ঘটনায় টলিউডের পাশেও দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১৭ সালে ১২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণার মতো অভিনেতারা পেশাগত কারণেই অনেক সংস্থার কাজ করেন৷ এতে অন্যায় কোথায়?’’ নোট বাতিলের প্রতিবাদে কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাংকের দপ্তরের সামনে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকেই মমতা প্রশ্ন করেন, ‘‘তাপস, শতাব্দী, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা কী করেছে? ওরা সিনেমা করে৷ এটা ওদের পেশা৷ টলিউড থেকে বলিউড ও হলিউডে ওঁদের যোগাযোগ রয়েছে৷’’ রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর প্রযোজিত একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা৷ সেই সূত্র ধরেও হতে পারে জেরা৷