ফের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের! আদৌ অভিঘাত হবে? গর্জন অনুযায়ী হবে বর্ষণ?

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (West Bengal Governor CV Ananda Bose) বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে হিংসা ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বারবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ…

West Bengal Governor রাজ্যপাল

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (West Bengal Governor CV Ananda Bose)

বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে হিংসা ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বারবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কতটা হয়েছে সেটা সকলেই জানেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা ভোট, সন্ত্রাস ইস্যুতে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। রাজভবনে অভিযোগ জানানোর জন্য খোলা হয়েছিল ‘পিস রুম’। কিন্তু তাতে কী সন্ত্রাস থামানো গিয়েছে? রাজ্যপালের কড়া বার্তার আদৌ কোনও প্রভাব পড়েছে?এই প্রশ্ন বহুদিন ধরেই রয়েছে।

ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী (Post-Poll Violence in West Bengal)

এই পরিস্থিতিতে ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে ফের সরব হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশকে কলকাতার মাহেশ্বরী ভবনে আশ্রয় দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার সেখানে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আনন্দ বোস। সেই সঙ্গে রাজভবনে ঢুকতে যেভাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দিয়েছে পুলিশ, তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল।

আমি কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না: রাজ্যপাল

সবমিলিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে,”কিছু মানুষ হিংসা ইস্যুতে আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হল না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বেশ কিছু খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যদি রাজ্যপাল কিছু জানতে চান তাহলে সেটা রাজ্য সরকারের বা মুখ্যমন্ত্রীর জানানো কর্তব্য। কিন্তু সেই নিয়ম এখানে মানা হয় না। এখানে সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। সরকার তার দায়িত্ব পালন করছে না। সেটা তারা না করতে পারলে আইন আইনের মতো চলবে। আমি কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না।”

রাজ্যপালে হুঁশিয়ারি কর্ণপাত করবে নবান্ন?

প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যপাল যেভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাতে কী আদৌ কর্ণপাত করবে নবান্ন? আর যদি নবান্ন কোনও পদক্ষেপ না করে সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল কী বিষয়গুলি নিয়ে কোন কড়া ‘স্টেপ’ নেবেন? তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এমন কথা তো আগেও বলেছিলে। বাস্তবে তার কী কোনও ফল দেখা গিয়েছিল? এবার ফের রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। তাই সেই হুঁশিয়ারির প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে আদৌ পড়বে কিনা, তা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

‘রাজ্যপাল যতটা গর্জন করেন, ততটা বর্ষণ দেখা যায় না’

তবে সেই সম্ভাবনা কম বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করে। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন রাজ্যপাল যতটা গর্জন করেন তার ছিটেফোঁটাও বর্ষণ দেখা যায় না। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে অনেক কথা বলেছিলেন তিনি। নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক আছে কিনা তা প্রত্যক্ষ করতে রাস্তায় পর্যন্ত নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কী হিংসা আটকানো গিয়েছিল? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সামান্যতম পদক্ষেপ করতে পেরেছিলেন রাজ্যপাল? তাই বর্তমানে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল যে কথা বলছেন, সেটিকে কতটা সিরিয়াসলি নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- 

ভোট মিটতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল! প্রতিহিংসা নাকি? জল্পনা শুরু

রাহুলের জেতা ওয়েনাড় থেকে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

কাশ্মীর শান্ত! মোদী-শাহের দাবি কী ঠিক? বাস্তব বলছে অন্য কথা

একাধিক বিজেপি সাংসদ জোড়াফুলে! তৃণমূল নেতার টুইটে

 

Politics: West Bengal Governor CV Ananda Bose has issued a warning to the state government over post-poll violence, but will it have any impact? Read to know more.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *