কলকাতা: দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে সাধারন জনতা যখন জীবন-জীবিকা বাঁচাতে জেরবার, ঠিক তখনও বঙ্গ রাজনীতিতে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি পর্ব৷ একদিকে করোনা, অন্যদিকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত, শিয়রে বাড়ছে ডেঙ্গু ভয়৷ তিনটি বিপদের মুখোমুখি বাংলা৷ বাংলার আকাশে বিবদ বাড়লেও কোনও ভাবেই থামছে না বঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ৷ এবার সেই উত্তাপ আরও খানিকটা বাড়িয়ে সংঘাতে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জাগদীপ ধনকার৷ করোনা আবহে টুইটারে চলছে দু’প্রভাবশালীর রাজনৈতিক তরজা৷ রাজ্যপালকে ‘আঙ্কেলজি’ সম্মোধন করে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ৷ পাল্টা ‘পুকুর চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল৷
রাজ্যপালের সঙ্গে ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্রের টুইট যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রথমে রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে করোনা, উমপুন এবং পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা যখন মসৃণভাবে সামলে চলেছে, ঠিক তখন রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে আক্রমণ করছেন৷ মনে রাখা দরকার, পচা আপেল গাছ থেকে পড়ে বেশি দূর যেতে পারে না৷’’
এরপর মাঠে নামেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ মহুয়া মৈত্রকে ট্যাগ করে লেখান, ‘‘তাঁর নিজের সরকারের বিরুদ্ধে যে ধারালো তীরগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুঁড়েছিলেন, সেগুলি ঘাতক ছিল৷ যা আমাদের পঞ্চায়েতের পুকুর চুরি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে৷ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে কাট মানি'র কথা আবার মনে করিয়েছে৷ যা সর্বত্র বিরাজমান৷ (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে)’’
দ্বিতীয় টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘পঞ্চায়েতের দুর্নীতি সামনে এনে নিজে এখন বেকায়দায় পড়েছেন। আপাদমস্তক চুরি দুর্নীতিতে ডুবে থাকা পঞ্চায়েতের চুরি সকলের নজরে এনে এবার MB এর অনুগ্রহ পেতে চাইছেন। রাজ্যপালকে আক্রমণ কি সেজন্য??? তবে এমন অসহায় অবস্থায় আপনি একা নন, আপনার মতো যোগ্য নেতা-নেত্রীদের বন্দিদশা দেখে অবাক হই৷’’
এরপর রাজ্যপালকে ‘আঙ্কেলজি’ বলে সম্বোধন করেন সাংসদ৷ লেখেন, ‘‘আঙ্কেলজি তিনটি বিষয় রয়েছে৷ এক, কার হাতে কতটা রক্ত লেগে আছে তা বিবেচনা করে বিজেপি নেতা নির্বাচন করে৷ তৃণমূল কংগ্রেস কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করে৷ দুই, আইনজীবী হিসাবে আপনার কেরিয়ার খুব একটা উজ্জ্বল নয়৷ আর যাই হোক অন্তত রাজভবনের মর্যাদাটুকু রাখার চেষ্টা করুন৷ তিন পরের রাজস্থান ভোটে আপনি সবসময়ই লড়তে পারবেন৷ সেই কারণে নিজেকে সুস্থ রাখুন৷’’