ইটাহার: বাংলার দিদি’র ‘জোড়াফুল’ আর উত্তরপ্রদেশে বুয়া-ভাতিজার ‘হাতি’ ও ‘সাইকেল’ই এবার দিল্লির মসনদের ‘চালিকা শক্তি’। মঙ্গলবার ইটাহারের বিধিবাড়িতে নির্বাচনী জনসভায় দিল্লির গদি দখলের এহেন সম্ভাবনাকে নিজের ভাষায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরই পাশাপাশি বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে ইটাহারের ওই সভা থেকে মমতার প্রত্যয়ী ঘোষণা, ‘পদ্মফুল’ই হোক কিংবা ‘হাত’ শিবির, এককভাবে ক্ষমতায় আসবে না কেউই। বরং ‘সংযুক্ত ভারত মোর্চা’ বা ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্ট’ই যে সরকার গড়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন বুনিয়াদপুরের নারায়ণপুরে অর্পিতাদেবীর সমর্থনে অপর একটি সভায় মমতা সাফ জানিয়ে দেন, বিজেপি আসছে না, ফিরছে না। উপচে পড়া সভাস্থল সোল্লাসে সায় দিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে।
ইটাহারের সভায় মমতা বলেন, এবার জনগণের দরকার নতুন সরকার। জনগণের দরকার তৃণমূলের নেতৃত্বে সরকার। এরপরই তিনি বলেন, বাংলা আর ইউপি (উত্তরপ্রদেশ) মিলে ঠিক করবে, কেন্দ্রের আগামী সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই কেন্দ্রে কিছুটা প্রভাব রয়েছে কংগ্রেসের। গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের সঙ্গেই সেই বিষয়টি মাথায় রেখে জনতা-জনার্দনের কাছে মমতার নিবেদন, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে লাভ নেই। বরং এখানে বহরমপুর, জঙ্গিপুর সহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করেছে ওরা (কংগ্রেস)। তৃণমূল সুপ্রিমোর আগাম ঘোষণা, এবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্ট। মমতার ভবিষ্যতবাণীকে করতালি আর হর্ষধ্বনিতে স্বাগত জানিয়েছে মানুষ।