গোর্খাল্যান্ডের দাবি এখনও মুছে যায়নি পাহাড়ে: বিমল

দার্জিলিং: গোর্খাল্যান্ডের দাবি এখনও মুছে যায়নি৷ আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি আন্দোলন আগেও হয়েছে পরেও হবে। গোপন ডেরা থেকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একথাই জানালেন পাহাড়ের অন্যতম নেতা বিমল গুরুং। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিমল এমন কথা কেন বললেন, তার নির্দিষ্ট কারণ আছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেছিলেন, এবার পাহাড় এমন একটা ভোট দেখতে চলেছে যেখানে গোর্খাল্যান্ড নয়, ইস্যু

গোর্খাল্যান্ডের দাবি এখনও মুছে যায়নি পাহাড়ে: বিমল

দার্জিলিং: গোর্খাল্যান্ডের দাবি এখনও মুছে যায়নি৷ আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি আন্দোলন আগেও হয়েছে পরেও হবে। গোপন ডেরা থেকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একথাই জানালেন পাহাড়ের অন্যতম নেতা বিমল গুরুং। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিমল এমন কথা কেন বললেন, তার নির্দিষ্ট কারণ আছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেছিলেন, এবার পাহাড় এমন একটা ভোট দেখতে চলেছে যেখানে গোর্খাল্যান্ড নয়, ইস্যু উন্নয়ন। কিন্তু গুরুং বললেন, আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি ছিল আছে এবং থাকবে। তাঁর কথায়, “প্রতিটি নির্বাচনই দাবি পূরণের দিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় বলে মনে করি। এবার ভোটে দার্জিলিং থেকে শুরু করে তরাই, বুঝিয়ে দেবে, আলাদা রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসেনি তারা। এই নির্বাচন জিতে আমরা সবাইকে বুঝিয়ে দেব আমরা ভয় পাই না৷’’

আটের দশকের মাঝামাঝি ১৯৮৬ সাল নাগাদ নতুন করে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় পাহাড়ে। সেই তখন থেকে এই ইস্যুকে ঘিরেই আবর্তিত হয় পাহাড়ের ভোট রাজনীতি। এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তৃণমূল অনেক দিন থেকেই বলে আসছে পাহাড়ের মূল সমস্যা অনুন্নয়ন। আলাদা রাজ্য গঠন নয় উন্নয়নের কাজ করলেই পাহাড়ের মানুষের মুখে হাসি ফোটান যায়। অতীতে গোর্খাল্যান্ডের হয়ে সওয়াল করা বিজেপিও এবার উন্নয়নের কথাই বলছে। একই সুর স্থানীয় দলের নেতাদের মুখে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা একটা সময়ে আলাদা রাজ্যের কথা বলত। আদতে আটের দশকে চরমে থাকা আলাদা রাজ্য গঠনের দাবিকে এই শতাব্দীতে নতুন চেহারা দিয়েই পাহাড়ের রাজনীতিতে মাথা তুলেছিল মোর্চা। কিন্তু এখন মোর্চার আর সেই জোর নেই। অনেকেই এসেছেন তৃণমূলে। বিমল গুরুং থেকে শুরু করে রোশন গিরিরা এখন সক্রিয় নন পাহাড়ের রাজনীতিতে। তাঁরা দুজনেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাই মোর্চার নেতৃত্বেও বদল এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *