দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির শোভন-বৈশাখী, তুঙ্গে বিতর্ক

কলকাতা: ফের আমন্ত্রণ বিভ্রাট! দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির শোভন-বৈশাখী৷ দলবদল এরপর এটাই ছিল তাঁদের প্রথম দলীয় কর্মসূচি৷ বাধ্যতামূলক ভাবে দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, মণ্ডল সভাপতি, সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের বৈঠক ডাকা হলেও হাজির হলেন না সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে শোভন-বৈশাখীর গরহাজিরা নিয়ে ইতিমধ্যেই

দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির শোভন-বৈশাখী, তুঙ্গে বিতর্ক

কলকাতা: ফের আমন্ত্রণ বিভ্রাট! দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির শোভন-বৈশাখী৷ দলবদল এরপর এটাই ছিল তাঁদের প্রথম দলীয় কর্মসূচি৷ বাধ্যতামূলক ভাবে দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, মণ্ডল সভাপতি, সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের বৈঠক ডাকা হলেও হাজির হলেন না সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে শোভন-বৈশাখীর গরহাজিরা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

দলে যোগ দেওয়ার প্রথম মুহূর্ত থেকেই শুরু হয়েছিল শোভন-বৈশাখী নিয়ে টানাপোড়েন৷ অভিনেত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক শতাব্দী রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলে দলের অন্দরে বাড়িছিলেন বিড়ম্বনা৷ দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে শতাব্দীকে ফিরিয়ে শোভন-বৈশাখীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক সপ্তা মধ্যেই ফের শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়৷

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৈশাখীদেবীর নাম আমন্ত্রণপত্রে না থাকায় বিদ্রোহ প্রকাশ করেন তিনি৷ পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নালিশও করেন বৈশাখীদেবী৷ যদিও বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার পর শোভন-বৈশাখীকে পাশে বসিয়ে বিজেপি রাজ্য দপ্তরের সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ৷

এবার দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে দেখা গেল না শোভন-বৈশাখীকে৷ কিন্তু, কেন তাঁরা বৈঠকে হাজির হলেন না? এ বিষয়ে শোভন-বৈশাখী জানিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি৷ কিন্তু, দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সবাইকেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে৷ তাঁরা কেন আসলেন না, সেটা দেখা হবে৷

আর এই নিয়ে দলের অন্দরে শোভন-বৈশাখীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের একাংশ৷ বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, দলের আইন-শৃঙ্খলা না মেনে চলা নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক নেতৃত্ব৷ কেননা, এই ধরনের প্রবণতা বাড়তে থাকলে আদতে বিজেপির ক্ষতি বলেও জানিয়েছেন কর্মীদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *