কোচবিহার: মদনমোহন মন্দিরে গিয়ে নিজের গোত্র বদলে ‘ভিন্ন’ গোত্রে অঞ্জলি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ কোচবিহার রাজবাড়ির মদনমোহন মন্দির গিয়ে অঞ্জলি-সহযোগে পুজো দেন৷ পুজোর দেওয়ার পর গোত্র বদলের কথা নিজেই জানালেন মমতা৷
পুজো শেষে রাসমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘আমি রাসমেলার নাম খুব শুনেছি৷ কোচবিহারের রাসমেলা বহুদিনের পুরোনো৷ ঐতিহাসিক৷ ধার্মিক৷ বলতে পারেন সর্বধর্মে এক এক অদ্ভুত অনুভূতি এখানকার রাসমেলায় রয়েছে৷’’
মেলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জানান, ‘‘আমি জীবনে কোনদিন মেলায় যাই না৷ কারণ মেলাতে এত দোকান হয়, আর এত ভিড় হয়, মেলাতে গেলে পদপৃষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো একটা ভয় থাকে৷ তাই সাধারণত যেখানে বেশি লোকের আগমন হয়, যেখানে বেশি তীর্থযাত্রীদের আগমন হয়, সেখানে আমি চেষ্টা করি৷ সেটা এড়িয়ে যাওয়ার৷ কিন্তু বারবার করে আমাকে রাসমেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল৷ এবং আমি বলেছিলাম, এবারে আমি চেষ্টা করব আসার জন্য৷ গত সপ্তাহে আসার কথা ছিল৷ কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের অনেকগুলি জেলায় ৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ সেই জন্য তাঁদের হয়ে কাজ করতে হচ্ছে৷ আমাদের তাঁদের কাছে ছুটে গিয়েছিলাম৷ তাই আমি একটা সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছিলাম৷ কারণ আমি জানতাম, আপনাদের অনেকটা সময় আছে৷ সেই সময়ের মধ্যে একদিন অ্যাডজাস্ট করে চলে আসবো৷ তাই আজকে মেলা প্রাঙ্গণে আসা৷’’
পুজো প্রসঙ্গে এবার বলেন, ‘‘আমার সব থেকে ভালো লেগেছে, মদনমোহন মন্দির৷ আমি সব সময় যাই৷ আমি কোচবিহারে যতবার এসেছি, ততবার এখানে এসেছি৷ কিন্তু, আজ পুজোটা আমার খুব ভালো লেগেছে৷ পুজো ও অঞ্জলি৷ আমি পুরোহিতকে বললাম, উনি একটা পুজো দিচ্ছিলেন শান্ডিল্য গোত্র বলে৷ যেহেতু বন্দোপাধ্যায়ের শান্ডিল্য গোত্র হয়৷ আমি বললাম, আরও একটা গোত্র যুক্ত করে দিন৷ বলল কি, আমি বললাম মা-মাটি-মানুষ গোত্র৷ আমি যখন পুজো করি, তখন সবার জন্যই পুজো দিই৷ মানুষ ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকি৷ খুব ভালো অঞ্জলি, পুজো সবকিছু হয়েছে৷ আজ এখানে আসতে পেরে আমি খুশি হয়েছি৷ আমার জীবনে অনেক দিন ধরে সাধ ছিল, রাসমেলা কী একবার দেখার জন্য৷ সেটা পূর্ণ হল৷’’