মুসলিম ভোটারদের হুমকি দিয়ে প্রশাসনিক নোটিসের গেরোয় মানেকা গান্ধী,

আজ বিকেল: ভোট না পেলে মুসলিমদের জন্য কোনও কাজ করবেন না তিনি। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের তুরাবখানি এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে একথাই বলেছিলেন বিজেপির প্রার্থী মানেকা গান্ধী। বৃহস্পতিবার অন দ্য রেকর্ডে তাঁর বলা কথার ক্লিপিংস ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। বিষয়টি জেলাশাসকের কান পর্যন্ত যেতেই তিনি মানেকা গান্ধীকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে শ্রীমতী গান্ধীর

মুসলিম ভোটারদের হুমকি দিয়ে প্রশাসনিক নোটিসের গেরোয় মানেকা গান্ধী,

আজ বিকেল: ভোট না পেলে মুসলিমদের জন্য কোনও কাজ করবেন না তিনি। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের তুরাবখানি এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে একথাই বলেছিলেন বিজেপির প্রার্থী মানেকা গান্ধী। বৃহস্পতিবার অন দ্য রেকর্ডে তাঁর বলা কথার ক্লিপিংস ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। বিষয়টি জেলাশাসকের কান পর্যন্ত যেতেই তিনি মানেকা গান্ধীকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে শ্রীমতী গান্ধীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করে নির্বাচন কমিশনকেও পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনার পরেই কমিশনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে তাঁর বিরূপ মন্তব্যের জেরে যে সুলতানপুরের রাজনৈতিক হাওয়া গরম তা বুঝতে সময় নেননি মানেকা গান্ধী। সঙ্গে সঙ্গে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন প্রার্থী। জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মুসলিমদের ভালোবাসি। আমি নিজেই বিজেপির মাইনরিটি সেলের এই মিটিং ডেকেছিলাম। বলতে চেয়েছিলাম, মুসলিমদের ভোট ছাড়া আমার নির্বাচনে জিততে খারাপ লাগবে। এই জয়ে যদি তাঁদেরও ভোট থাকে, তাহলে সেটা ডালে ফোড়ন দেওয়ার মতো ব্যাপার হবে। এই কথাকেই ভুলভাবে দেখানো হয়েছে।”

মানেকার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে কংগ্রেস। দলের তরফে রণদীপ সিং সূরযেওয়ালা বলেছেন, বিজেপি প্রার্থী বিভেদ সৃষ্টিকারী মন্তব্য করে ভোটের আগে এলাকাকে অশান্ত করতে চাইছেন। এটি কখনওই কাম্য নয়, তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তুরাবখানি এলাকায় একটি নির্বাচনী জনসভায় যান সেখানকার বিজেপি প্রার্থী মানেকা গান্ধী। সেখানে গিয়েই স্থানীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে তিনি কটাক্ষ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি মৃদু শাসানি দিতেও ভোলেননি। তিনি বলেন, “একটা জরুরি কথা বলে নেওয়া দরকার। আমি জিতছি। মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েই আমি জিতছি। কিন্তু মুসলিমদের ভোট ছাড়াই যদি আমি জয়লাভ করি, তাহলে তত ভালো লাগবে না। দিল খাট্টা হো জায়েগা।তারপরে কোনও মুসলিম যদি আমার কাছে কোনও কাজ করাতে আসে, আমি ভাবব, যেমন আছে তেমনই থাক। তাতে কী যায় আসে। আসলে এটা গিভ অ্যান্ড টেকের ব্যাপার। তাই নয় কি? আমরা মহাত্মা গান্ধীর সন্তান নই। আমরা শুধু দিয়েই যাব, তারপর ভোটে হেরে যাব, এমনটা হতে পারে না। আপনারা ভোট দিলেও জিতব, না দিলেও জিতব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =