কলকাতা: রাজ্যবাসীকে ‘অপমানের’ জবাব দিতে পথে নামছে তৃণমূল। আজ শুক্রবার থেকে ধর্মতলায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান-বিক্ষোভে বসছে তৃণমূল। রাজ্যের ভোটকেন্দ্রগুলিকে অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণার দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এবার সেই গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা চাপের মুখে ফেলতে তৎপর তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের মহিলা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসন্ন লোকসভা ভোটে সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা উচিত। আগের দিন এমনই দাবি জানিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে সরব হয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক লড়াই নয়, এতদিন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তৃণমূলকে হেনস্তা করে এসেছে গেরুয়া বাহিনী। এবার ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনকেও দলীয় স্বার্থে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের দল। দলের দাবি, যে রাজ্যে নানা ধর্মীয় কিংবা সামাজিক পার্বণ নির্বিঘ্নে পালিত হয়, যেখানে গো-রক্ষকের নামে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে না, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বস্তুত রাজ্যবাসীকে অমর্যাদা করার শামিল। যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনোখুনির তথ্য তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি, তাও বিভ্রান্তিতে ভরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন, তাঁদের ৯৯ শতাংশই তৃণমূলের সদস্য। ওইসব খুনের অভিযোগও বিজেপির বিরুদ্ধে।