কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার নতুন ক্যাবিনেটে বাংলা থেকে চার জন নতুন মুখ যুক্ত করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই সিদ্ধান্তটি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যে বিজেপির অবস্থানকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজ্যে বিজেপির ১৮জন সাংসদ আছেন। মোদী তার মধ্যে পছন্দ করেছেন ৪জনকে। মতুয়া মহাসংহকে সামনে রেখে মন্ত্রীসভায় তুলে আনা হয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে। জন বারলা, চা-বাগানের এক নেতা। তিনি স্থানীয় উপজাতিদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক রাখেন। ইদানিং উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন। নিশীথ প্রামানিক কোচবিহারের এক রাজবংশী নেতা। তিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। লোকসভায় তিনি জিতেছিলেন। ইদানিং, বিধানসভাতেও তিনি জেতেন। তবে, সম্প্রতি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি সাংসদ হিসাবে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাঁকুড়ার বিজেপি নেতা, জঙ্গলমহলের মানুষ ডা. সুভাষ সরকারও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন।
সংখ্যালঘু মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন জন বারলা। জলপথ, বন্দর, জাহাজের রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। স্বরাষ্ট্র এবং ক্রীড়া ও যুব কল্যান মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন নিশীথ। শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সুভাষ।
শান্তনু ঠাকুর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বাংলায় প্রায় ২ কোটি মতুয়া বাস করেন। সারা ভারতে প্রায় ৬ কোটি। বাংলায় প্রায় ২০ শতাংশ মতুয়া ভোট রয়েছে। শেষ বিধানসভায় তৃণমূল বেশির ভাগ মতুয়া ভোট পেয়েছে। সিএএ প্রয়োগ নিয়ে টালবাহানায় খুশি নয় মতুয়ারা। অমিত শাহ তা জানেন। মাঝে বেসুরো হয়েছেন শান্তনুও। কিন্তু রাজ্যে মতুয়া ভোটের ১০০ শতাংশ চায় বিজেপি। সেক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রী সভায় যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা।
উত্তরবঙ্গ বিজেপির দখলে ছিল। ১১টি রাজবংশী অধ্যুষিত আসনের মধ্যে ৯টি বিজেপির আয়ত্তে আসে। এর জন্য বলা যায় পুরস্কার পেলেন নিশীথ। চা-বাগানে নিজের জনপ্রিয়তার মূল্য পেলেন জন বারলা। আবার জঙ্গলমহলে ফের বিজেপির পতাকা উড়াতে সুভাষ সরকার পেলেন গুরুদায়িত্ব। ইদানিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ছাত্রঋণ চালু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রী, বিশেষ করে যারা জাতীয় স্তরে পড়াশোনা করতে চান, তাদের সুযোগ সুবিধার দেখার দায়িত্বও থাকবে ডাক্তারবাবুর উপর।