তৃণমূলে দুর্নীতি, ধরতে হবে রাঘব বোয়ালদের! রাজীব-মন্তব্য কাঁপুনি ঘাসফুলে

তৃণমূলে দুর্নীতি, ধরতে হবে রাঘব বোয়ালদের! রাজীব-মন্তব্য কাঁপুনি ঘাসফুলে

কলকাতা: শুরুটা হয়েছিল করোনার রেশন বণ্টন নিয়ে৷ বিতর্ক বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমপানের সরকারি অর্থ সাহায্য নিয়ে পঞ্চায়েতী দুর্নীতি৷ ত্রাণ নিয়ে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আগেই উঠেছিল৷ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়স্তরের দুর্নীতি৷ এবার সেই দুর্নীতির আবহে দলের রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হবে না, রাঘব বোয়ালদের ধরতে হবে৷ নাম না করে দলের অন্দরে অঙুল তুলেছেন বনমন্ত্রী৷

নাম না করে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুনিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাঘব বোয়লদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন৷ চুনোপুঁটিদের দেখিয়ে কিছুই হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ সার্বিকভাবে দুর্নীতি দমন না করা গেলে সমস্যা বাড়তে পারে, এমনই মন্তব্য করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দক্ষ লোকদের যথাযথ বিচার হয় না৷ যোগ্যতা থাকলেও কাজে সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ যদিও সরাসরি নেতা মন্ত্রীদের নাম নেননি মন্ত্রী৷ তবে রাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে চর্চা৷

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছুটা হলেও আমার ভেতরের চাপা আক্ষেপ বলুন, দুঃখ বলুন, বেদনা বলুন, রয়েছে৷ আমি তো মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি৷ আমি এই নিয়ে কোথাও জানায়নি৷ দুর্নীতিকে রুখতে গেলে আমার বক্তব্য হচ্ছে, শুধু কয়েকজন চুঁনোপুটিকে দেখিয়ে দুর্নীতিকে রোধ করতে যাই, সেটা হবে না৷ প্রচুর রাঘববোয়াল, রুই-কাতলা-ইলিশ আছে৷ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে৷’’ এই বিষয়ে তিনি কি দলের অন্দরে কথা বলেছেন? সংবাদমাধ্যমকে বলবো না, জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷

দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে৷ দলের মধ্যেই জানানো উচিত৷ তা কখনও প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয়৷ এতে দল অস্বস্তি বাড়ে৷ দলবিরোধী কাজ৷ রাজীব প্রসঙ্গে বার্তা দিয়েছেন অরূপ রায়৷ বলেছেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ এটা দলকে জানানো উচিত৷ আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে, সেটা দলের মধ্যে জানানো প্রয়োজন৷ আর আমি ব্যবস্থা নিয়ে নিলাম, দলটাকে ফাঁকা করে দিলাম, এটা তো ঠিক না৷ এভাবে বাইরে বলা ঠিক নয়৷ এতে অস্বস্তিতে পড়তে পারে দল৷ একটা ক্যাবিনেট মিনিস্টার৷ তার এই মন্তব্য করাটা বাঞ্ছনীয় নয়৷ দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ যদি কেউ বলে, সেটাই দল বিরোধী কাজের মধ্যে পড়ে৷’’

দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘প্রথমে সাধন পান্ডে বলেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন৷ ওঁরা নামেই মন্ত্রী আছেন৷ তাঁরাও কর্মচারী হয়ে গিয়েছেন৷ মন্ত্রী বলে, তাঁদের স্বাধীন সত্তা নেই৷ কাজ করার অধিকার নেই তাঁদের৷ মানুষকে সেবা করতে পারছে না৷ তাঁরা প্রতিবাদ করছেন৷ আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য ঘরানার লোক৷ তিনি বলতে বাধ্য হচ্ছেন৷ তাঁর বিবেক, তাঁকে তাড়াচ্ছে৷ তিনি তো কিছু করতে পারবেন না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 7 =