আজ বিকেল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রমোট করতে গিয়ে পথে বসেছেন সুদীপ্ত সেন। সারদার ব্যবসা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সারদা কাণ্ডের অভিযুক্তকে পাশে নিয়ে সভা করছেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রীকে ঠুকতে গিয়ে সারদা-নারদা ইস্যু তুলেতেই জবাবে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা বাহুল্য, সারদা কাণ্ডের অভিযুক্ত বলতে মুকুল রায়কেই বুঝিয়েছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর এহেন খোঁচাকে হজম করেননি মুকুল। তিনিও পাল্টা দিতে গিয়ে একেবারে নিশানা করে বসলেন মমতাকে।
সাফ জানালেন, মমতাই সারদার প্রকৃত সুবিধাভোগী। তাঁকে প্রমোট করতে গিয়েই সারদার অন্ধকার দিন শুরু হয়ে গিয়েছিল, ব্যবসা শেষ। একেবারে গারদে যেতে হল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে। মুকুলের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে নির্দেশে মাত্র দুবার তাঁর সারদা কর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে, একবার দার্জিলিংয়ের ডেলো-তে , দ্বিতীয়বার কলকাতার নিজাম প্যালেসে। সারদা কর্তা বা ও সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনওরকম সম্পর্ক ছিল না। যদি কেউ এই তথ্যকে নস্যাৎ করে দিতে পারেন তবে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। একই সঙ্গে যাই শাস্তি হোক না কেন তিনি মাথা পেতে নেমেবন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহস নেই সারদা ইস্যু তুলে তাঁর নাম নেওয়া।
কোচবিহারের সভা থেকে মমতার চৌকিদার কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে সারদা নারদ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, মা সারদাকে সারা দেশ পুজো করলেও মমতা বাংলায় সারদা কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছেন। আর নারদমুনি এখানে যপ করেন না, এখানে নারদ কেলেঙ্কারি হয়। এরপর বাংলার মানুষকে আশ্বাস দিয়ে তাঁর প্রতিশ্রুতি, চিন্তা করবেন না চৌকিদার এসব টাকার হিসেব নিয়ে তবে ছাড়বে।
অন্যদিকে সারদা ইস্যুতে তাঁর নাম জড়ানোয় নারদ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে মমতাকে পালটা তোপ দাগতে ছাড়েননি মুকুল রায়। তিনি বলেন, স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম ও অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়কে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তাহলতে তো এঁরা কেউই সাধু নন। মোটের উপর এই কথা হল যে ভোটযুদ্ধে সারদা নারদ প্রসঙ্গে বাংলায় যুযুধান দুইপক্ষের লড়াই শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গবাসী এখন অভিনব নাটক দেখছেন।