অবশেষে বিজেপি সাংসদকে বাঁকুড়ায় ঢোকার অনুমতি হাইকোর্টের

বাঁকুড়া: দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর অবশেষে বাঁকুড়ার মাটিতে পা রাখার অনুমতি পেলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ‘বিতর্কিত’ বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ আজ কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মামবার সওয়াল-জবাব শোনার পর সৌমিত্রকে বাঁকুড়া জেলায় ঢোকার উপর থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়৷ চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা৷ সেই মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত চলে যায়৷

অবশেষে বিজেপি সাংসদকে বাঁকুড়ায় ঢোকার অনুমতি হাইকোর্টের

বাঁকুড়া: দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর অবশেষে বাঁকুড়ার মাটিতে পা রাখার অনুমতি পেলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ‘বিতর্কিত’ বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ আজ কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মামবার সওয়াল-জবাব শোনার পর সৌমিত্রকে বাঁকুড়া জেলায় ঢোকার উপর থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়৷ চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা৷ সেই মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত চলে যায়৷

গত সোমবার নিম্ন আদালতের রায়ের ভিত্তিতে নিজের নির্বাচনি কেন্দ্রে পা রাখেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ‘বিতর্কিত’ বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ ওই দিন দুর্গাপুর-বাঁকুড়া সীমান্তে ডিভিসি ব্যারেজের সামনে সাংসদকে স্বাগত জানান উপস্থিত ছিলেন দলীয় কর্মী, সমর্থক, অনুগামী। ফুল আর মালা দিয়ে তাকে তারা বরণ করে নেন।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের আগে তৎকালীন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দিল্লিতে গিয়ে ঘাস ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। একই সঙ্গে টাকা নিয়ে চাকরি করে দেওয়ার প্রতারণা মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার জেরে দীর্ঘদিন তিনি বাঁকুড়া জেলায় ঢুকতে পারছিলেন না। লোকসভা ভোটে  বিষ্ণুপুর কেন্দ্রেই বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করে। সেই সময় হাইকোর্টের নির্দেশে এক দিনের জন্য মনোনয়পত্র জমা দিতে বাঁকুড়াতে ঢোকার সুযোগ পান তিনি। তবে নিজে উপস্থিত থেকে নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ থেকে বঞ্চিতই থাকতে হয় সৌমিত্র খাঁকে। পরে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় বিজেপির টিকিটে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তিনিই। এদিন ফের আদালতের নির্দেশে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তার বিরুদ্ধে চলা প্রতারণা মামলায় জামিনের আবেদন করতে তিনি বাঁকুড়ায় ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

সাদা পাজামা, গেরুয়া পাঞ্জাবি পরে গাড়ি করে দুর্গাপুর ব্যারেজ পেরিয়ে এপারে পা দিয়েই বাঁকুড়ার মাটিকে ভূমিষ্ট হয়ে প্রণাম জানান সৌমিত্র খাঁ। সেখানেই কেঁদে ফেলন তিনি৷ পরে স্ত্রী সুজাতা খাঁকে পাশে নিয়ে বিষ্ণুপুর বাসীকে প্রণাম জানিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, সাংসদ হিসেবে বিষ্ণুপুরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার একমাত্র কাজ। সকলের জন্য কাজ চাই, সকলের জন্য ভাত চাই এই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রবিবার তৃণমূলের ধর্মতলার শহীদ সমাবেশ পুরো ‘ফ্লপ’ বলেও এদিন তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × one =