কলকাতা: সংঘাত ভুলে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজো সস্ত্রীক হাজির হলেন রাজ্যপাল৷ আজ সন্ধ্যায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে যান রাজ্যপাল৷ রাজ্যপালকে দেখে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ দুই হাত জোড় করে রাজ্যপালকে নিজের ঘরে বসতে আর্জি জানান মমতা৷ রাজ্যপাল-পত্নীকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে যান মমতা৷ রাজ্যপালকে তিনি জানান, ‘এটাই আমার ঘর৷’ হাত জোড় করে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল৷ ঘরের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ সময় কাটানোর পর পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে নির্দেশ আসনে বসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল৷
ভাইফোঁটার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি দেন রাজ্যপাল৷ এরপর কালীপুজোর দিন সস্ত্রীক রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোয় আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রাজ্যপাল৷
সংবাদমাধ্যমে শনিবার রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলাম৷ কারণ ভাইফোঁটা দিনটি ভাই-বোনের সম্পর্কের একটি অন্যতম দিন৷ ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমি আর্জি জানিয়ে ছিলাম৷ এর পরে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাঁর বাড়ির কালীপুজো যাওয়ার জন্য সস্ত্রীক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আমি তাঁর আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীপুজোয় যাব৷’’
প্রতি বছর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে কালীপুজো করে থাকেন৷ কালীপুজোর অনুষ্ঠানে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী, আমলা থেকে বিশিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ নিজে অতিথি আপ্যায়ণ করেন মমতা৷ এবারও তার অন্যথা হয়নি৷ এবিষয়ে রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি জানতে পেরেছি, ১৯৭৮ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে পুজো করে আসছেন৷ এবার ৫১ বছর৷ আমি তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি৷’’ রাজ্যপাল হিসাবে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল৷