অবশেষে জেল হেফাজতে মির্জা, গতি কমবে নারদ তদন্তে?

কলকাতা: নারদতদন্তের গতি কার্যত থামিয়ে ধৃত আইপিএস মির্জাকে নিজেদের হেফাজতে না চেয়ে জেল হেফাজতে পাঠানোর পক্ষেই সওয়াল সিবিআইয়ের৷ ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করে সিবিআইয়ের তরফে মির্জাকে জেল হেফাজত চাওয়া হলেও বিরোধিতা করেন অভুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা৷ জামিনের আর্জিও জানানো হয় মির্জার আইনজীবীদের তরফে৷ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর অবশেষে জেল হেফাজতে নারদকাণ্ডে ধৃত আইপিএস মির্জা৷ নারদ

অবশেষে জেল হেফাজতে মির্জা, গতি কমবে নারদ তদন্তে?

কলকাতা: নারদতদন্তের গতি কার্যত থামিয়ে ধৃত আইপিএস মির্জাকে নিজেদের হেফাজতে না চেয়ে জেল হেফাজতে পাঠানোর পক্ষেই সওয়াল সিবিআইয়ের৷ ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করে সিবিআইয়ের তরফে মির্জাকে জেল হেফাজত চাওয়া হলেও বিরোধিতা করেন অভুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা৷ জামিনের আর্জিও জানানো হয় মির্জার আইনজীবীদের তরফে৷ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর অবশেষে জেল হেফাজতে নারদকাণ্ডে ধৃত আইপিএস মির্জা৷

নারদ তদন্তে জেরা পর্বের জন্য মির্জাকে নিজেদের হেফাজতে না চেয়ে জেল হেফাজতের জন্য আবেদন জানায় সিবিআই৷ মির্জার আইনজীবীদের তরফে জামিনের আর্জি জানানো হয়৷ পরে সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে আইপিএস মির্জাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ পাঠানোর নির্দেশ নগর দায়রা আদালতের৷ আদালত সূত্রে খবর, আজ মামলার শুনানি শেষে মির্জাকে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪ দিনের জেল হেফাজত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

তবে মির্জার জেল হেফাজতের নির্দেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা৷ অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মির্জাকে জেল হেফাজত হওয়ায় আপাতত জেরা পর্বে কিছু হলেও ছেদ পড়তে পারে৷ সে ক্ষেত্রে নারদ তদন্তের গতি কিছুটা হলেও কমতে পারে বলেও আশঙ্কা কোনও কোনও মহলের৷ আইপিএস মির্জাকে জেরা করে নারদকাণ্ডে মুকুল রায়ের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছিল সিবিআই তৎপরতা৷ ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সন্ধানও শুরু করেছিল সিবিআই৷ কিন্তু, মির্জার জেল হেফাহজ হওয়ায় কিছুটা হলেও সেই তদন্তে ভাটা পড়তে পারে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল৷

অন্যদিকে, আজ সকালে আদালতে যাওয়ার পথে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন নারদকাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া আইপিএস এসএমএইচ মির্জা৷ আজ সকালে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন সংবাদমাধ্যমকে আইপিএস মির্জা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন৷ জানিয়েছেন, ‘‘ফুটেছে তাঁকে দেখা যায়নি মানে এটা প্রমাণিত নয় যে, তিনি টাকা নেননি৷ সিবিআই তদন্ত করছে৷ সিবিআইকে যা বলার আমি বলেছি৷’’ যদিও এর আগে মুকুল রায় একাধিকবার দাবি করেছিলেন, তিনি নারদ কর্তা থেকে একটিও টাকা নেননি৷ নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল তাঁর কাছে এসেছিলেন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে৷ তিনি তাঁকে ব্যবসায়ীক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ কিন্তু নারদ কর্তার থেকে তিনি একটিও টাকা নেননি৷ যা নারদকর্তা ভিডিও ফুটেজেও দেখাতে পারেননি৷

কিন্তু, গত বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপি সদরদপ্তর থেকে প্রকাশ করা নারদ ফুটেজে শোনা গিয়েছে, মুকুলের মুখে মির্জার প্রসঙ্গ৷ এমনকী, মির্জার মুখেও মুকুল রায়ের কথা শোনা গিয়েছে৷ সেখানে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার হাতবদলের ইঙ্গিত পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ ফলে ওই টাকা কে, কাকে, কোথায়, কখন দিয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মির্জা ও মুকুল রায়কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা৷ একই সঙ্গে মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে মুকুল রায়ের এলগিন রোডের বাড়িতেও ঘটনার পুনঃনির্মাণ করেছেন সিবিআই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − ten =