শেষ দফার ভোটে ১১১ প্রার্থীর বিষয়-আশয়, পড়ুন বিস্তারিত

আজ বিকেল: হাইভোল্টেজ লোকসভা নির্বাচনের ক্লাইম্যাক্স দরজায় কড়া নাড়ছে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সাত তথা শেষদফার ভোট গ্রহণ আগামী কাল। এই ভোটকে কেন্দ্র করে সরগরম গোটা রাজ্য, এই উত্যপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্বিষহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেকারণেই বৃহস্পতিবার রাত দশটার পর থেকে রাজ্যে যাবতীয় ভোটপ্রচার নিষিদ্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিষয়টি কতটা

শেষ দফার ভোটে ১১১ প্রার্থীর বিষয়-আশয়, পড়ুন বিস্তারিত

আজ বিকেল:  হাইভোল্টেজ লোকসভা নির্বাচনের ক্লাইম্যাক্স দরজায় কড়া নাড়ছে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সাত তথা শেষদফার ভোট গ্রহণ আগামী কাল। এই ভোটকে কেন্দ্র করে সরগরম গোটা রাজ্য, এই উত্যপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্বিষহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেকারণেই বৃহস্পতিবার রাত দশটার পর থেকে রাজ্যে যাবতীয় ভোটপ্রচার নিষিদ্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিষয়টি কতটা যুক্তিযুক্ত তা ভাবার বিষয়, তবে স্বাধীনতার পর এই প্রথম কমিশন ভোটের কারণে কোনও রাজ্যে ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করল। যাইহোক রাত পোহালেই নটি কেন্দ্রে ১১১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। তার আগে একবার প্রার্থীদের হালহকিকতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাক।

কেন্দ্রগুলি হল বারাসত, বসিরহাট, ডায়মন্ডহারবার, দমদম, যাদবপুর, জয়নগর,কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর ও মথুরাপুর। ১১১জনের মধ্যে বিজেপির নয় জন প্রার্থী, তৃণমূল কংগ্রেসের নয় জন, জাতীয় কংগ্রেসের আটজন, সিপিআইএম-এর ছয় জন, বিএসপি-নয়,এসইউসি আই প্রার্থীনয়জন, শিবসেনার পাঁচ জন, রাষ্ট্রীয় জনধিকার সুরক্ষা পার্টির দুজন, সিপিআইএমএল রেডস্টারের দুজন, নির্দল প্রার্থী ২৬জন এবং অন্যান্য দলের জন্য রয়েছেন ২৬জন প্রার্থী।

বলাবাহুল্য, ১১১জনের মধ্যে অন্তত ২১ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৭জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত জামিন অয়োগ্য ধারায় মামলা ঝুলছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। এই ধরনের লোকজন যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই অংশ না নিতে পারে তানিয়ে কমিশনের বিধবদ্ধ সতর্কীকরণের শেষ নেই। তবুও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে কমিশন, কারোরই নিষেধাজ্ঞা মানে না।এই অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত প্রার্থীদের মধ্যে বিজেপিতে রয়েছে পাঁচজন, কংগর্সের দুজন, তৃণমমূলের চারজন, সিপিআইএমের দুজন।

শুধু অপরাধ নয়, টাকার খেলাতেও এগিয়ে রয়েছেন বেশকিছু প্রার্থী। কোটিপতি প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন ৩০জন। এঁদের সম্পদের পরিমাণ ১কোটি টাকারও বেশি। কলকাতা দক্ষিণের জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী মিতা চক্রবর্তী, তাঁর মোট ঘোষিত সম্পদ ৪৪ কোটি টাকারও বেশি।দ্বিতীয় অবস্থানে যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য , তাঁর মোট ঘোষিত সম্পদ ১২ কোটি টাকারও বেশি। তিন নম্বরে কলকাতা উত্তরের জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী সৈয়দ শাহীদ ইমাম, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ সাত কোটি টাকারও বেশি। এই পর্বের প্রাথীদেরমধ্যে সবথেকে কম সম্পদের অধিকারী বারাসতের নির্দল প্রার্থী মৃণালকান্তি ভট্টাচার্য, তাঁর ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৩৫ হাজার টাকা।দমদমের নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সুবীর দাসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪১ হাজার টাকা, এরপরেই রয়েছেন বসিরহাটের নির্দল প্রার্থী শুভাশিস কুমার ভৌমিক, তাঁর মোট ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৪৭ হাজার টাকা।এই পর্যায়ের সমস্ত প্রার্থীদের মধ্যে গড় সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩৫ কোটি টাকা। শিক্ষাগত দিক থেকে এই পর্বের প্রার্থীদের মধ্যে ৩০ জন মতো উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন বাকিদের স্নাতক ও স্নাকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।
এই ১১১জন প্রার্থীর মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ১৭জন। তাহলে মাত্র ১৫ শতাংশ মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *