নয়াদিল্লি: পুলওয়ামা কাণ্ডের পর জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তার্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হোক।এমনটাই চেয়েছিল নয়াদিল্লি, সেইমতো রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাবিও করা হয়।ভারতের দাবিকে সমর্থন জানায় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া বেশ কয়েকটি দেশ।
কিন্তু চিন এক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তার জন্য বেশকিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছে। তাই মাসুদ আজহারকে এখনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া যায়নি। যদিও আমরা জানি চিন ভারতের এই প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছে চিন।অন্তত সেই খবরটিই সংবাদ মাধ্যমের বদান্যতায় আজ গোটা ভারতীয়র গোচরে। সবাই জানে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সো-কল্ড বন্ধুত্বই মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিল। চিনই আসল দোষী, অন্তত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বক্তব্য তেমনটাই প্রমাণ করে। কিন্তু আসল সত্য যে অন্যকথা বলছে। তাহলে ভুল তথ্য প্রকাশ করল কে, অভিযোগ বিজেপির আইটি-সেলের সরবরাহ করা অতিরঞ্জিত তথ্যই খবর হিসেবে প্রকাশ করে বেশকিছু সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার।
বিক্রম শর্মা, হ্যাঁ এই শর্মাই জানিয়েছে, বিজেপির আইটি সেলের দেওয়া তথ্যই তারা খবর হিসেবে প্রকাশ করে। নমো নামের এক পেজ রয়েছে ফেসবুকে, সেটির দায়িত্বে বিক্রম শর্মা তিনি সেখানেই লেখেন, আসলে চিনের হাতে এমন কোনও ক্ষমতা নেই যে তারা মাসুদ আজহারকে জঙ্গির তকমা ঝোলানোর জন্য সমর্থন করতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের কাছে এই বক্তব্যও বেজিং পেশ করেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই শুরু হয়ে যায়। বিক্রম শর্মাকে চিহ্নিত করতে গিয়ে দেখা যায় ভুল তথ্যকে খবর হিসেবে মানুষকে খাওয়ানো তাঁর কাজ। সেই কাজ তিনি ভালমতোই করেন। এর আগে তিনি একটি ভাইরাল ভিডিও থেকে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ২০০ জঙ্গির দেহ বালাকোট থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খবরের সত্যতা যাচাই করতেই দেখা যায় ওই ছবিটি অনেক পুরনো, এবং বালাকোটের সঙ্গে কোনওরকম সংযোগ নেই। এরপরই সেই পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। বিক্রম শর্মার ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায় এরও আগে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ছাত্র সংসদ দখল করেছে। তথ্যটি প্রাথমিকভাবে ভুল, তাই সেটিও ভয় পেয়ে ডিলিট করে দেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিক্রম জানান, পিএমওর ফেসবুক পেজের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও ফেসবুকে ছটি পেজ, ১০ থেকে ১২টি গ্রুপ ও ৩০টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খবর ছড়ান বিক্রম। তাঁকে যাবতীয় খবর সরবরাহ করে বিজেপির আইটি সেল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূলত নরেন্দ্র মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রীর আসন পাইয়ে দেওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য, আর সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ করে চলেছেন।