নয়াদিল্লি: ক্ষমতাসীন বিজেপি সদস্যদের ক্ষেত্রে 'হেট স্পিচ' নিয়ম বিধি কার্যকর করা হয় না ফেসবুকে। স্যোশাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে ক্রমবর্দ্ধমাণ বিতর্কের মধ্যেই তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংকে ব্যান করল ফেসবুক। ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাজনীতিবিদকে ঘৃণা সহিংসতা ও বিদ্বেসমূলক প্রচারের মাধ্যমে ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘন করায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই রাজনৈতিক নেতাকে৷
ফেসবুকের ওই মুখপাত্র ইমেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ন, “বিপজ্জনক ব্যক্তি এবং সংস্থার নীতি”র আওতায় নীতিমালা লঙ্ঘন করার জন্য কাউকেই বরদাস্ত করা হবে না। যে কারণে রাজা সিংকে ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁকে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলেই জানা গেছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিজেপি বিধায়ককে ফেসবুকের পাশাপাশি ফটো এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামেও অনুমতি দেওয়া হবে না। নিয়ম অনুযায়ী বিজেপি বিধায়কের প্রতিনিধিত্বকারী পেজ এবং গ্রুপের অ্যাকাউন্টগুলিও সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে, তাঁর প্রশংসা এবং সমর্থন সহ তাঁকে নিয়ে বিস্তৃত আলোচনার ক্ষেত্রে অনুমোদন অব্যাহত থাকবে।
বুধবার, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে একটি সংসদীয় প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের ভারতীয় কর্মকর্তারা। পক্ষপাতিত্ব ইস্যুতে দু'পক্ষের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের। গত মাসে টুইটারে একটি ভিডিওতে টি রাজা সিং দাবি করেছিলেন তাঁর কোনও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ নেই তাই সেখানে কোনও পোস্টের জন্য তিনি দায়বদ্ধ নন। কিন্তু তিনি জানতে পেরেছেন যে বেশ কিছু ফেসবুক পেজ-এ তাঁর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিছু সাম্প্রদায়িক পোস্টও অস্বীকার করেছিলেন তিনি এবং দাবি করেছিলেন যে তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ২০১৮ সালে হ্যাক এবং ব্লক করা হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওটিতে সিং আরও দাবি করেন যে তিনি যখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বলছেন তখন তা এমনভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে যে তিনি বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক। তিনি এও দাবি করেছেন যে তার একটি অফিসিয়াল ইউটিউব অ্যাকাউন্ট এবং একটি অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে টি রাজা সিং-কে নিয়ে প্রথমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, মে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেসবুক ইন্ডিয়ার কোনো এক কর্মী দাবি করেছেন যে, বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংয়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তার অ্যাকাউন্ট যেন স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ না করা হয় এর জন্য ভিতর থেকে চেষ্টা চালিয়েছিলেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার নির্বাহী আঁখি দাস। তিনি বলেছিলেন যে এর ফলে ভারতে “ব্যবসায়িক সম্ভাবনা” ক্ষতিগ্রস্থ হবে।