কলকাতা: সারদাকাণ্ডে ফের বুধবার ইডির মুখোমুখি কুণাল ঘোষ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করা হয় তাঁকে৷ আজ বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজির হয়ে একযোগে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও মিঠুন চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় তুললেন কুণাল ঘোষ৷
জেরা শেষের পর সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ জানান, ইডি ও সিবিআইয়ের কাছে তাঁর আবেদন, যাতে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে তাঁকে ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়৷ বলেন, ‘‘আমি সবসময় তদন্তে সহযোগিতা করেছি৷ ভবিষ্যতেও করব৷ আমার একটি অনুরোধ তাদের কাছে, এই সারদার রহস্যের সন্ধানে যেমন আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তদন্ত চলছে৷ আমি মুকুল রায়ের সঙ্গে একটি যৌথ জেলার আর্জি জানাচ্ছি সিবিআই ও ইডি দু’জনকেই৷ আমার বক্তব্য হচ্ছে, রাজীব কুমার যৌথ জেলার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল৷ আমি সহযোগিতা করেছি৷ তদন্তকারী এজেন্সিগুলিকে বলেছি, মুকুল রায় সম্ভবত তাঁর মতামত জানিয়েছেন৷ কিন্তু আমার বক্তব্য এই দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে যেমন রাজকুমারকে মুখোমুখি বসে জেরা করে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা, আমার মনে হয় সারদার রহস্যের জট খুলতে আমার আর মুকুল রায়ের মুখোমুখি বসে যদি জেরা করা হয় তাহলে অনেক রহস্যের জট খুলতে পারে৷
Former TMC MP Kunal Ghosh appears before the Enforcement Directorate, in connection with Saradha chit fund case. pic.twitter.com/SVo6SWztGJ
— ANI (@ANI) July 17, 2019
পাশাপাশি অভিনেতা মিঠুনের দিকেও একপ্রস্থ আঙ্গুল তুলেছেন কুণাল ঘোষ৷ বলেন, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তী কে আমি খুব শ্রদ্ধা করি৷ এটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই৷ কিন্তু কথা হচ্ছে, এটা কোন সরলীকরণের বিষয় নয়৷ মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর সঙ্গে সংস্থার যে বোঝাপড়া ছিল সেটা হচ্ছে, ৫২টি সপ্তাহের কাজ করার৷ কিন্তু আমাদের মনে পড়ছে, মিঠুন চক্রবর্তী কাজ করেছিলেন ৯টি এপিসোড৷ ৭টি টেলিকাস্ট হয়৷ যেহেতু কাজ না করে পয়সা নিয়েছিলেন তিনি, তাই তিনি ফেরত দিতে পারেন৷ যারা পরিশ্রম করেছেন, সময় দিয়েছেন কাজ করেছেন, পারিশ্রমিক নিয়েছেন৷ তা ছাড়া যতদিন রাজ্য সরকারের তদন্ত করেছিল, তখন মিঠুন চক্রবর্তীর বিবেক কোথায় ছিল? সিবিআই, ইডি না আসলে মিঠুন চক্রবর্তীর টাকা ফেরত দেওয়ার বিবেক জাগত? তাহলে আগে দেননি কেন?’’
দু’দিন আগেই সারদা-কাণ্ডে নোটিশ দিয়েছে ইডি। মোট ছ’জনকে নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার ইডির তরফ থেকে এই নোটিশ দেওয়া হয়৷এর আগে ছয় জনকে ইডি নোটিশ দেয়। তাদের মধ্য রয়েছেন শতাব্দী রায়, কুণাল ঘোষ, সজ্জন অগ্রবাল, অরিন্দম দাস, দেব্রত সরকার, সন্ধি আগ্রবাল। মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷