Aajbikel

'দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী! কর্ণাটক নির্বাচনের আগে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ছবির মুক্তি?

 | 
'দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী! কর্ণাটক নির্বাচনের আগে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ছবির মুক্তি?

নিজস্ব প্রতিনিধি:  কর্ণাটক নির্বাচনের আগে ফের সামনে এল সিনেমা বিতর্ক। যে ছবিটিকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বিজেপির সর্বস্তরের নেতৃত্ব। কেরল হাইকোর্ট ছবি মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয় কিনা সেদিকেই চোখ ছিল সবার। শেষ পর্যন্ত আদালত স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের 'দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি। আর কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছবিটির প্রশংসা করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন।

 

 

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, এই ছবিটি সমাজের অন্দরে বেঁধে থাকা সন্ত্রাসবাদের মুখোশকে প্রকাশ্যে এনে দেবে। এই ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। ছবি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ছবিটিকে প্রচারমূলক (প্রোপাগান্ডা) বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ছবিটির মুক্ত কণ্ঠে প্রশংসা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি  বলেন, ‘‘কংগ্রেস পার্টি সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে চায় বলেই ছবিটিকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে। এভাবে তারা  সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে। 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবিটি সমাজের অন্দরে বাসা বেঁধে থাকা সন্ত্রাসবাদের মুখোশকে প্রকাশ্যে  আনবে।'' উল্লেখ্য এই ছবি নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ছবিটির মুক্তি আটকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল একাধিক মুসলিম সংগঠন। বিতর্ক থাকায় সেন্সর বোর্ড ছবিটির বেশ কয়েকটি দৃশ্যে কাঁচিও চালায়। মূলত ধর্মান্তরণের পর জঙ্গিগোষ্ঠী আইসিস-এ বহু মহিলার যোগদান করানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে।

 

 

প্রথম থেকেই ছবি মুক্তির বিরোধিতা করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের পাশাপাশি সেই রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি সম্পর্কেও বেশ কিছু আপত্তিকর সংলাপ ছিল ছবিতে। সেগুলিও সেন্সর বোর্ড বাদ দিয়েছে। সব মিলিয়ে ছবিটিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু এই ছবিটিকে হাতিয়ার করেই ধর্ম নিয়ে মেরুকরণের মাধ্যমে কর্ণাটক নির্বাচনে বিজেপি বাজিমাত করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে বিষয়টিকে বিজেপির 'সিনেমা পলিটিক্স' বলা হচ্ছে। একথা বলার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এর আগে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামে বিজেপি। সেই ছবিরও মুক্ত কণ্ঠে প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই আবহের মধ্যে নির্মিত হচ্ছে 'দিল্লি ফাইলস' নামে একটি ছবি। ছবির নাম 'দিল্লি ফাইলস' হলেও মূলত তাতে পশ্চিমবঙ্গের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

 

 

এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে তৈরি হয় একটি ছবি, যার নাম 'অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার'। সেই ছবিতে গান্ধী পরিবারকে নেতিবাচক ভূমিকায় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সিনেমার মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছে কংগ্রেস, যার ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেই সূত্রেই বিষয়টিকে বিজেপির 'সিনেমা পলিটিক্স' বলে নিশানা করছে বিরোধীরা।

Around The Web

Trending News

You May like