কলকাতা: ২১-এর নির্বাচন কি রাজ্য রাজনীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসবে? না কি হবে প্রত্যাবর্তন? এটি এখন লাখ টাকার প্রশ্ন৷ নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে যেমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তৃণমূল৷ তেমনই পরিবর্তনের ঝড় তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির৷ তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বিশেষত মোদী-শাহের উপর বঙ্গ বিজেপি’র অন্ধ নির্ভরশীলতা রাজ্যে দলের জয়ের পথ রুদ্ধ করতে পারে৷ ২১-এর ভোটেও অধরা থেকে যেতে পারে বাংলার মসনদের স্বপ্ন৷
আরও পড়ুন- শিকেয় উঠেছে দূরত্ববিধি! উৎসবে ভিড়ের অপেক্ষায় ভাইরাস! ফাঁদে পা দিলেই বিপদ!
এখনও পর্যন্ত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ফোকাস করার মতো নির্দিষ্ট কোনও ইস্যু বিজেপি তৈরি করতে পারেনি৷ তাৎক্ষণিক জনস্বার্থের নির্দিষ্ট বিষয় উত্থাপন করেনি বঙ্গ বিজেপি৷ যার উপর ভর করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্ত বুনিয়াদ গড়ে তুলতে পারবে গেরুয়া শিবির৷ এটা বঙ্গ বিজেপি’র একটা বড় ব্যর্থতা৷ বিজেপি এখনও এটা বুঝে উঠতে পারেনি যে, বুথ স্তরে শক্তি বৃদ্ধি আর বিধানসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচনে কোনও ভূমিকা পালন করবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা কেবলমাত্র বিষয় চিহ্নিতকরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে কাটাছেঁড়া করে দেখার অধিকার নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের৷
বঙ্গ বিজেপি’কে পরিচালনার রিমোট রয়েছে কেন্দ্রের হাতে৷ যে ভাবে রিমোট কন্ট্রোলের মতো বঙ্গ বিজেপি’কে পরিচালনা করা হচ্ছে, তাতে বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের মেজাজ হাতের মুঠোয় ধরে রাখা অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠছে৷ বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষেও জনগণের সামনে নিজেদের একটি শক্তিশালী ভাবমূর্তি গড়ে তোলা কঠিন হয়ে উঠছে৷ উপরন্তু কেন্দ্রীয় নেতত্বের ব্যর্থতার দায়ভারও বইতে হচ্ছে তাঁদের৷ এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কোনও লড়াকু আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি৷ বরং অনেকা আলগা ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণ আর আর্থিক দুর্নীতিকে ইস্যু করে ময়দানে নেমেছে৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ‘বিদ্রোহী’ রাহুল সিনহা? ‘সম্মানীয়’ ২ শাসক নেতার ফোন!
বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিশানায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথারা৷ অন্যদিকে, তৃণমূল স্তরে বিজেপি’র বিরুদ্ধে কোমড় বাঁধছে সিপিএম ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির ক্যাডাররা৷ রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, গত লোকসভা ভোটে অসাধারণ সাফল্য সত্ত্বেও বিজেপি’র পুরনো বনাম নতুন শত্রুতার মূল্য চোকাতে হতে পারে দলকে৷ সব দিক মিলিয়ে ২১-এর ভোট যুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷