বহরমপুর: পশ্চিমবঙ্গে আরএসপি-র সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি ছিল যে সব এলাকা, তার মধ্যে বহরমপুর লোকসভা অন্যতম। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রায় একটানা বহরমপুর ছিল আরএসপি-র দখলে। মাঝে শুধুমাত্র ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার প্রেক্ষিতে হওয়া নির্বাচনে বহরমপুর থেকে জিততে পেরেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অতীশ সিংহ। কিন্তু ১৯৯৯ সাল থেকে প্রায় সম্পূর্ণ ধসে গিয়েছে আরএসপি-র সেই ঘাঁটি, বহরমপুরে শুরু হয়েছে অধীর-যুগ। কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে পর পর চার বার বহরমপুর থেকে জয়ী হয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। ইউপিএ-২ সরকারে তিনি মন্ত্রিত্বও করেছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় গোটা দেশে কংগ্রেসকে বিপর্যয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল। কিন্তু বহরমপুর থেকে অধীর চৌধুরীর জয়ের ব্যবধান আগের বারের চেয়েও বেড়ে গিয়েছিল। সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনকে হারিয়েছিলেন তিনি। আরএসপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রমথেশ মুখোপাধ্যায় তৃতীয় স্থানে চলে যান বহরমপুরে। এবারের নির্বাচনে প্রথম দফায় এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার৷
মালদহ দক্ষিণ: এই লোকসভা আসনের জন্ম ২০০৯ সালের আগে আসন পুনর্বিন্যাস (ডিলিমিটেশন)-এর জেরে। এই পুনর্বিন্যাসের ঠিক আগে অবিভক্ত মালদহের সাংসদ ছিলেন গনি খান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী। পরে মালদহ ভেঙে দু’টি আসন তৈরি হয় এবং আবু হাসেম ওরফে ডালু নিজের জন্য দক্ষিণ মালদহ বেছে নেন। ২০০৯ এবং ২০১৪— দু’বারই এই আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। এ বার অবশ্য পরিস্থিতি একটু অন্য রকম। তৃণমূল আগের চেয়ে অনেকটা শক্তি বাড়িয়েছে দক্ষিণ মালদহে। উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে বিজেপি-রও। তাই কংগ্রেসকে এ বার কঠিন লড়াইয়ে পড়তে হতে পারে। এবারের নির্বাচনে প্রথম দফায় এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নূর৷