কেন্দ্র যাদবপুর: খাতায়-কলমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত এই লোকসভা কেন্দ্র। কিন্তু কলকাতা লাগোয়া এই কেন্দ্রের রাজনীতি মোটের উপরে কলকাতা কেন্দ্রিক। যাদবপুর আসনে একটানা একচ্ছত্র প্রভাব কোনও দলই দেখাতে পারেনি। বার বারই হিসেব উল্টে দিয়েছেন এই কেন্দ্রের ভোটাররা। প্রবাদপ্রতিম সিপিএম নেতা তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এক সময়ে যাদবপুরের সাংসদ ছিলেন। ১৯৭৭ এবং ১৯৮০— দু’বার যাদবপুর থেকে জয়ী হন সোমনাথ।
কিন্তু ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার পটভূমিকায় হওয়া নির্বাচনে যাদবপুরে কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজনীতিতে নবাগতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮৯-এর নির্বাচনে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে। ১৯৯১ সালেও যাদবপুরে মালিনী ভট্টাচার্যই জিতেছিলেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণা বসু যাদবপুরে জেতেন।
১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালেও যাদবপুর কৃষ্ণা বসুর দখলেই থাকে, কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে। ২০০৪ সালে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর কাছে হেরে যান কৃষ্ণা। ২০০৯ সালে তৃণমূলের কবীর সুমনের কাছে হেরে যান সুজন। তবে ২০১৪ সালে আর টিকিট পাননি সুমন। কৃষ্ণা বসুর ছেলে তথা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সুগত বসু সেখানে তৃণমূলের টিকিট পান। সুগতই জেতেন যাদবপুরে।
এবার যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী৷ ২১৫৬৫ ভোটে এগিয়ে তিনি৷ তৃতীয় রাউন্ডের শেষে মিমি পেয়েছেন ৬৭৮৪৬টি ভোট, বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা পেয়েছেন ৪৬২৮১টি ভোট, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ২৯৪৯৪টি ভোট৷