কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার সিউড়ির নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ জমা পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং চেয়ে পাঠাল দিল্লির নির্বাচন কমিশনের অফিস।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে শনিবার জানা গিয়েছে, ভিডিও ক্লিপিংস কমিশনের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই ক্লিপিংস পর্যালোচনা করে এব্যপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করে, মুখ্যমন্ত্রী ওই সভায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিরোধীদের ‘চমকাতে’ ও ‘ধমকাতে’ নির্দেশ দিয়েছেন। বিরোধীদের এভাবে হুমকি দিয়ে নির্বাচনী বিধি ভাঙার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক, এটাই চান বিজেপি নেতারা।
চতুর্থ দফার নির্বাচনের ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় তৃণমূল কংগ্রেস খুবই অসন্তুষ্ট। ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ১০ বছর আগে বিহারের থেকেও খারাপ- বিশেষ পর্যবেক্ষকের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কেন রাজ্যের নির্বাচন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। অজয় নায়েক অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার। বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস।