নজরে নির্বাচন, পুরসভার পর এবার নবান্ন অভিযানে বিজেপি

কলকাতা: একবার নয়, দুইবার নয়, বারবার সরকারি প্রধান দফতরগুলিতে অভিযান চালাবে রাজ্য বিজেপি৷ বুধবার কলকাতা পুরসভা অভিযানে ব্যাপক সারা পেয়েছে বিজেপি৷ যদিও বিজেপির মিছিল কলকাতা পুরসভা পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেনি, তবুও চাঁদনী চকের মোড়ে মিছিল পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়৷ এবং, তারপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ৷ তবে সমগ্র ব্যাপারটিতে নৈতিক জয়

e69bcad02ede99fd9312d1ecc9c60b14

নজরে নির্বাচন, পুরসভার পর এবার নবান্ন অভিযানে বিজেপি

কলকাতা: একবার নয়, দুইবার নয়, বারবার সরকারি প্রধান দফতরগুলিতে অভিযান চালাবে রাজ্য বিজেপি৷ বুধবার কলকাতা পুরসভা অভিযানে ব্যাপক সারা পেয়েছে বিজেপি৷ যদিও বিজেপির মিছিল কলকাতা পুরসভা পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেনি, তবুও চাঁদনী চকের মোড়ে মিছিল পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়৷ এবং, তারপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ৷

তবে সমগ্র ব্যাপারটিতে নৈতিক জয় দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত৷ এদিকে রাজ্য সরকারের পরিচালিত হাসপাতাল ডেঙ্গুর কথা স্বীকার করেছে না৷ ডেঙ্গুর তথ্য লুকোনো হচ্ছে৷ প্রসঙ্গত, বুধবারের মিছিলে দিলীপ ঘোষ কিছুক্ষন ছিলেন৷ তবে দলের নেতৃত্বকে যাওয়ার আগেই সাফ বকে দিয়ে গিয়েছেন, এই ধরণের আন্দোলন আরও বাড়াতে হবে৷ লোকসভা নির্বাচনের আগেও লালবাজার অভিযান হয়েছে৷

বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে লোকসভা নির্বাচনের পর সিইএসসি-ভিকটোরিয়া হাউস অভিযানও করে বিজেপি৷ উভয় ক্ষেত্রেই গন্তব্যের অনেক আগে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি র মিছিল৷ কিন্তু, সারা ভারতের মিডিয়া সেই ঘটনা প্রচার করেছে৷ সেক্ষেত্রে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ‘পলিটিকাল এডভেন্টেজ’ পেয়েছে বিজেপি৷

২০২০ তেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচন৷ ওই নির্বাচনে বিজেপি ১০০ শতাংশ ঝাঁপাতে চায়৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বারবার দেখিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের কলকাতা পুরসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

যা খবর, পুরসভা আবার অভিযান চালাতে পারে বিজেপি৷ তবে শুধু পুরসভাই নয়, লালবাজার এবং নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনাও করেছে গেরুয়া শিবির৷ বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২১ সালের নির্বাচন আর এক বছরের মধ্যেই আসছে তা ধরেই নিয়েছে বিজেপি৷ ওই নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলিতে বিশাল মিছিল সংগঠিত করে এই ভাবেই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা পাকা৷ গেরুয়া শিবিরের ‘স্ট্রাটেজিষ্টরা’ মনে করছে, এই ধরণের আন্দোলন মানুষের মন ছুঁয়ে যায়৷ বিশেষ করে যদি ইস্যু থাকে ডেঙ্গু, বিদ্যুৎ বিল কিংবা রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি৷

লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভগবত ও রাজ্যে এসেছেন৷ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে এই তিন জনের ব্যাখ্যা, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয় নিয়েই আন্দোলন করতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *