আজ বিকেল: একসময় অধীরের ঘর ভেঙে ব্লক সাজিয়েছিল তৃণমূল, চার বছর যেতে না যেতেই মধুর প্রতিশোধ তুলে নিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। লালগোলা ব্লকের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অল রসিদ –সহ ২৫জন এদিন জেলা র দলীয় কার্যালয়ে এসে অধীরবাবুর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা গ্রহণ করেন।ঘর ওয়াপসির পরেই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন ওই নেতা বলেন, মমতা মুখেই ছাত্রযুবদের উন্নয়নের কথা বলেন, কাজে করে দেখান না। রাজ্যের যাত্র যুবদের মানোন্নয়নের কোনও চেষ্টাই হয় না। তাঁর রাজ্যেই চাকরি প্রার্থীরা অনশন করেন দিনের পর দিন আবার সেই অবস্থায় পুলিশের লাঠিপেটার মুখে পড়েন। এসব দেখেই কংগ্রেসে ফিরে এলাম।কংগ্রেসই প্রকৃত উত্তরণের পথ দেখাবে
এদিন দলীয় কার্যালয়ে পুরনো নেতা-কর্মীদের পাশে নিয়ে অধীর চৌধুরি বলেন, এঁরা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র।তৃণমূলের অন্যায়ের প্রতিবাদে এবার দলে দলে প্রচুর মানুষ কংগ্রেসে ফেরবেন।একদিন এঁদেরই ভুল বুঝিয়ে ঘর ভাঙিয়ে দলের শক্তিবৃদ্ধি করেছিল তৃণমূল।কিন্তু নিজেদেরই গুণপনায় তা ধরে রাখতে পারল না। এখনও বহু মানুষ লাইন দিয়ে রয়েছেন, তাঁরা ঘরে ফিরতে চান ফিরবেনও।
২০১৬-তে নিজের গড়ে অধীর চৌধুরিকে প্রায় নিঃস্ব করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।এবার যেন ফিরে পাওয়ার পালা।এদিন লালগোলার পাশাপাশি কান্দির কুমারসন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দেড় শতাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীও এদিন কংগ্রেসে যোগ দেন।বলাবাহুল্য, তৃণমূল ভেঙে নিজেদের শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া জারি রেখেছন অধীর চৌধুরি। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা সেই গড় কোনওমতেই হারাতে চান না অধীর। পঞ্চায়েত ভোটে প্রহসন হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন, এবার তাঁর অগ্নিপরীক্ষা।তাই গড় রক্ষায় নিজেই পরীক্ষার্থীর আসরে উপস্থিত হয়েছেন।