আজ বিকেল: ভূমিপুত্রকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হোন, দিল্লির লাড্ডুতে ভুলবেন না। একেসপায়েরিবাবু এখন মনে মনে গান গাইছেন, আমর সাধ না মিটিল আশা না পুরিল, সকলই ফুরায়ে যায় মা, একবার দিল্লির গদি পাইয়ে দাও মা। মনে রাখবেন এক্সপায়েরিবাবু ফের গদি পেলে আপনাকেই হয়তো দেশ থেকে বিতাড়িত করে দেবে। নাগরিকত্ব বিল কেন আমরা কি বাবামায়ের জন্মদিন জানতাম, ডেথ সার্টিফিকেট দেখাতে পারব তবে বার্থ সার্টিফিকট নয়। এখনকার প্রজন্মের বিষয়টি আলাদা কিন্তু আমরা তো পারব না। আমাদের সময় তো বাবা-মায়ের জন্মদিন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ হত না। এখন কেন সেসব হচ্ছে? তাইবলে কি আমাদের নাগরিকত্ব নেই, এই যে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পূর্বপুরুষরা এদেশে বাস করে এসেছেন, তাদের উত্তরাধিকার পেয়ে আমরা, বিজেপি ফের ক্ষমতায় এসে তাদের তাড়িয়ে দেবে।
ঝুটা চৌকিদার কিন্তু দেশ ছাড়া করবে, পাহাড় থেকে নেপালি ভুটানিদেরও তাড়িয়ে দিতে পারে নাগরিকত্ব বিলের দোহাই দিয়ে। ঝুটা চৌকিদারকে বিশ্বাস করবেন না, গত পাঁচ ভচরে দুকোটি চাকরির একটিও হয়নি, কারও অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা যায়নি। ত ১০ বছর যাঁদের সাংসদ করেছিলেন দার্জিলিংয়ের মানুষ, তাঁরা কী দিয়েছে পাহাড়কে। পাহাড়বাসীকে দেওয়া কোনও কথাই রাখেনি। শুধু গ্যাসের দাম, জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছড়াচ্ছে এখনও, কেউ বিশ্বাস করবে না ওই ঝুটা সরকারকে।
ঝুটাবাবু শুধু ভোটের লোভে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, তারপর ভোট শেষে দিল্লি পালিয়ে যান। বাংলার জন্য কিছুই করেননি, করবেনও না। শুধু নাগরিকত্বের দোহাই দিয়ে ভোট নেবেন, তারপর আপানাদেরই বিদেশি বলে তাড়িয়ে দেবেন। আর পাহাড়ে উন্নতি করতে হলে ভূমিপুত্ররাই করবেন।তাই িল্লিকে বদলে ফেলার সময় এসেছে, বদলে ফেলুন। দার্জিলিংয়ের সভা থেকে এভাবেই মোদিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যো পাধ্যায়।