কলকাতা: হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্কুলে না গিয়ে রাস্তায় বসে থাকা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে৷ শিক্ষামন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পর এবার বাস্তবে তা কার্যকর করার বিষয়ে মাঠে নামল বিকাশ ভবন! টানা ১৪ দিনের ধরে ধর্না, ১০ দিনের লাগাতার অনশনে থাকা শিক্ষকদের তথ্য সন্ধান ঘিরে ইতিধ্যেই তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পার্শ্ব শিক্ষক মহলে৷
সূত্রের খবর, গত ১১ নভেম্বরের পর থেকে কোন স্কুলে কোন পার্শ্বশিক্ষক অনুমতি না নিয়ে স্কুলের কাজে অংশ নেননি, সেই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয় হয়েছে৷ জেলায় জেলায় সেই নির্দেশনামা পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর৷ জানাতে চাওয়া হয়েছে, উপযুক্ত কারণ বা অনুমতি ছাড়া কোন পার্শ্ব শিক্ষক কবে থেকে স্কুলে গরহাজির, তাদের তালিকা তৈরি করে তা সংশ্লিষ্ঠ কর্তার কাছে পাঠাতে হবে৷
গরহাজিরার তালিকা প্রস্তুতি ঘিরে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আন্দোলনকারীরাদের মধ্যে৷ অনশনরত পার্শ্ব শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষকদের আন্দোলন পণ্ড করতে এই ধরনের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে৷ কিন্তু, সরকার চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা তাঁদের দাবি থেকে পিছু হটবে না বলেও জানিয়েন তাঁরা৷
অন্যদিকে, ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল রাজ্য সরকার৷ কিন্তু তাঁদের দাবি পূরণে প্রয়োজন টাকা৷ সেই টাকা কে দেবে? পার্শ্ব শিক্ষকদের এই সমস্যার পিছনে পূর্বতন বাম সরকারকে দায়ী করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকে কাঠগড়ায় তোলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বলেন, বাম আমলে অসীমবাবু বিভিন্ন পদের নাম করে বিধিবহির্ভূতভাবে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ করেছেন৷ ফলে, সেই চাপ এখন আমাদের উপর পড়েছে৷ আমাদের সরকার তাঁদের নিয়োগ করেনি৷