কলকাতা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলার৷ তথ্য গোপন করে প্যান কার্ডের আবেদন করার অভিযোগ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভাপতির স্ত্রীর বিরুদ্ধে৷ কিন্তু, মামলা দায়ের করেও মেলেনি রক্ষা! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে শুল্ক দফতরে হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷
রুজিরা অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন শুল্ক আধিকারিকরা৷ শুল্ক দফতর জানিয়েছে, রুজিরা প্যান কার্ডে একাধিক অসংগতি থাকায় বলে সমন পাঠানো হয়েছে৷ উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন, আগামী ৮ এপ্রিল শুল্ক দফতরে হাজিরা দিতে হবে রুজিরাকে৷ তবে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবেন শুল্ক আধিকারিকরা৷
অন্যদিকে, বিমানবন্দর কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ নির্বাচন কমিশনকে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ঘটনার সময় রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর কাছ থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি৷ একযোগে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে সিআইএসএফ, কাস্টমস ও আয়কর বিভাগ৷
প্যানকার্ডের জন্য দেওয়া বিবৃতিতে রুজিরা যে তাইল্যান্ডের বাসিন্দা, সেই তথ্য চেপে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওসিআই কার্ডে নিফন নকুলাকে রুজিরার বাবা হিসেবে উল্লেখ করা আছে। কার্ডটি ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি ব্যাঙ্ককের ভারতীয় দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়েছিল। পরে পিআইও কার্ডের আবেদনের সময় রুজিরা তাঁর বিয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার নাম গুরশরণ সিং আহুজা। গুরশরণ দিল্লির রজৌরি গার্ডেনের বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। প্যান কার্ডের আবেদনেও তিনি যে তাইল্যান্ডের নাগরিক, সে কথা চেপে যাওয়া হয়েছিল। তাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবেই প্যান কার্ড দেওয়া হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্য তাঁর জবাব চেয়ে নোটিস পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করেন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন রুজিরা নারুলা। নোটিস খারিজ বা অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের আবেদন জানান তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, শোকজ নোটিশ অনুযায়ী রুচিরা ওসিআই এবং প্যানকার্ডের জন্য দেওয়া বিবৃতিতে তিনি যে তাইল্যান্ডের বাসিন্দা, সেই তথ্য চেপে গিয়েছিলেন। ১৫ দিনের মধ্য জবাব না দিলে তাঁর পার্সন অফ ইন্ডিয়ান অরিজিন বা পিআই ও কার্ড (নং. পি২৩৪৯৭৯) বাতিল হয়ে যাবে। কার্ডে নিফন নকুলাকে রুজিরার বাবা হিসেবে উল্লেখ করা আছে। কার্ডটি ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি ব্যাঙ্ককের ভারতীয় দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়েছিল। পরে পিআইও কার্ডজের আবেদনের সময় রুজিরা তাঁর বিয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার নাম গুরশরণ সিং আহুজা।
গুরশরণ দিল্লির রজৌরি গার্ডেনের বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। প্যান কার্ডের আবেদনেও তিনি যে তাইল্যান্ডের নাগরিক, সে কথা চেপে যাওয়া হয়েছিল। তাই তাঁকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবেই প্যান কার্ড দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানাচ্ছে, তথ্যের বৈষম্যের জন্য রুজিরার ওসিআই বাতিল করা হতে পারে।