কলকাতা: নভেম্বর মাসেই রাজ্যে মহাগুরুত্বপূর্ন বিধানসভা উপনির্বাচন৷ উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে নির্বাচনের আগে জরুরি বৈঠকে সংগঠনের উপরই জোর দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সোমবার আসন্ন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন কে লক্ষ্য করে সোমবারই কালিয়াগঞ্জ হনুমান ভবনে দিলীপ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য,পঞ্চায়েত প্রধানদের বৈঠক হয়েছে৷ বুথ স্তরের এই বৈঠকে মূলত সংগঠনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ করা যেতে পারে, কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রটি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷ বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এই কেন্দ্র থেকে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের থেকে ৫৬৭৬২ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সী ১৮৫৬১টি এবং সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ১৯২৪০ টি ভোট পেয়েছিলেন৷ স্বাভাবিক ভাবেই এই কেন্দ্রে বিজেপি লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে৷ কিন্তু, এই উপনির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস ভোট এক মেশিনের বোতামের পড়বে৷ সেই বোতামটির উপর হাত চিহ্নই থাকবে৷ অন্যদিকে, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এলাকায় প্রশাসনিক সুবিধা কাজে লাগবে বলেও আশঙ্কা করছে বিজেপি৷
লোকসভা নির্বাচনের আগেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্ত সংগঠন বোঝা গিয়েছিল৷ দিল্লির নেতারা বুঝেছিলেন, উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা সারা দেশের অন্য কোথাও নেই৷ তবে, ২৫ নভেম্বর রাজ্যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি কে পাল্টা চাপে ফেলতে এলাকায় এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ চালু করেছে সিপিএম৷ ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোর নিজেই এই উপনির্বাচন দেখছেন৷
উপনির্বাচনে অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা হিসাবে উঠে এসেছে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ (এনআরসি) ইস্যু৷ উত্তরবঙ্গে এই ইস্যু নির্বাচনের প্রধান এজেন্ডা৷ প্রসঙ্গক্রমে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে এনআরসি বিষয়ে সম্মুখ সমরে নেমেছেন তৃণমূল৷ অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রচার শুরু করেছিল তৃণমূল৷ কিন্তু, বিজেপি মনে করছে, তৃণমূলের এনআরসি বিরোধীতা তাঁদের আরও সাহায্য করবে৷
দিলীপ ঘোষ এদিন কর্মীদের বলেছেন, মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে আরও একবার৷ ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় ক্ষমতায় আসতে হলে এই উপনির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাও বোঝাতে হবে৷