কলকাতা: রাজ্যের ক্লাবে-ক্লাবে জমা হচ্ছে রেশন। এলাকার তৃণমূল নেতারা রেশন দোকান থেকে চাল-ডাল নিয়ে ক্লাবে জমা করছেন ত্রাণ দেবেন বলে। ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি চলছে। অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
দিলীপের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার যথেচ্ছ রেশন দিয়েছে। জনগণ নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে রেশন তা সংগ্রহ করতে পারে। রেশন ডিলারের থেকে রেশন ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ত্রাণ বন্টনের সময় লোকজনের ভিড় জমছে। যার ফল মারাত্মক হতে পারে বলে মনে করেন দিলীপ। প্রসঙ্গক্রমে দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ত্রাণবন্টন নিয়ে। দিলীপ বলেছেন, বিজেপি রেশনের চাল-ডাল মজুত করেনি। চাল-ডালের ব্যবসায়ীদের থেকে কিনে আনা হয়েছে। লরি করে মাল এসেছে। নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে তা বন্টন করা হয়েছে।
রাজ্যে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিরোধী এবং সরকারের বিতর্ক চলছেই। বিরোধীদের বক্তব্য, সরকার সংখ্যা কম দেখানোর জন্য করোনা ভাইরাসের মৃত্যু মেনে নিতে চাইছে না। এখানেও রাজনীতি চলছে। দিলীপ অনেক আগেই বলেছেন, সরকার করোনাকে নিমনিয়া এবং হার্টফেল বলে চালানোর চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে করোনার মৃতের সংখ্যা সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিটির হিসাব কেন মিলছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ।
দিলীপের মতই বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, তথ্যকে গোপন করে মানুষকে বিপদে ফেলা হচ্ছে। হাওড়া হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে সুজন বলেছেন, করোনা রুগীকে অন্যদের থেকে আলাদা না করা গেলে সমগ্র হাসপাতালে তা ছড়িয়ে পড়বে। মারা যাওয়ার পর টের পাওয়া যাচ্ছে, তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তবে, ত্রাণ বণ্টনে রাজনীতির অভিযোগ এই প্রথম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের অনুদান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে দিলীপের বক্তব্য, কেন্দ্র যা রেশন দিয়েছে তা যথেষ্ট। তৃণমূল নেতারা দলবাজি বন্ধ করুক।