কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এদিকে একাধিকবার বৈঠক করার পর আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেই ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে দল। একাধিক জায়গায় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার জন্য এখন হেস্টিংসের বিজেপি পার্টি অফিসে বিক্ষোভ হচ্ছে। এবার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জানা গিয়েছে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন! আর এই উদ্যোগ নিতে চলেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অনুমান করা হচ্ছে, বীরভূমের কোন এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে মুকুল রায় প্রার্থী হতে পারেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে। দুটি জায়গাতেই বিগত লোকসভা নির্বাচনের ভালো সংখ্যায় এগিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে পুরোটাই এখন আলোচনার বিষয়। আদতে সত্যি সত্যি এই দুজন গেরুয়া বাহিনীর কাণ্ডারীকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে দেখা যায় কি না তা জানার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে। প্রসঙ্গত, জল্পনা ছিল যে খড়গপুর সদর থেকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেখানে ইতিমধ্যেই প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তবে এখন অন্য কোন কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হলে বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপ যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে, বুথের ১০০ মিটার পর থাকবে রাজ্য পুলিশ
অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় শেষ নির্বাচন লড়েছিলেন ২০০১ সালে। তিনি মূলত নির্বাচনে লড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, দলের হয়ে কাজ করতে এবং প্রচারের কাজে থাকতেই পছন্দ করেন। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন এইরূপে দেখা গিয়েছিল তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়কে। তবে এবারে বিধানসভা নির্বাচন সবার থেকে আলাদা হতে চলেছে তা সকলের জানা। তাই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন মুকুল রায়, অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।