কলকাতা: বাংলার তিন উপ-নির্বাচনে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তিন দিন পর ১৮০ ডিগ্রি ডিগবাজি খেলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ আজ শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষের দাবি, উপ-নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছে৷ হয়েছে সন্ত্রাস৷ কিন্তু, ভোটের দিন নিজের দুর্গ খড়্গপুরে বসে সেই দিলীপ জানিয়েছিলেন, ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ৷ ভোটের দিনে মন্তব্য ও ভোটের ফল প্রকাশের পর দিলীপের ভিন্ন মত ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷
শনিবার দলের রাজ্য সদরে দপ্তরে বসে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা উপনির্বাচনে হেরেছি৷ তবে সবকিছু গেলগেল রব ওঠে যাওয়া একদম ঠিক নয়৷ অনেকেই আমাদের দোষত্রুটি খুঁজছেন৷ আমরাও হারের ময়নাতদন্ত করব৷ সব কিছু ঠিকঠাক করেই আমরা ২০২১ এর প্রস্তুতি শুরু করব৷ উপ-নির্বাচনে জিতেই রাজ্যের শাসক দল ফের সন্ত্রাস শুরু করেছে৷ ভোটের সময়ও ভোট লুট হয়েছে৷ অশান্তি হয়েছে৷ সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল৷’’
শনিবার সোদপুরে সভার আগে তৃণমূল কর্মীদের তাণ্ডব প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘আমার সভার স্থলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল৷ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে৷ কালো পাতাকা দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না৷ আমাকে আটকাতেই সোদপুরে রাজ্যের শাসক দল তাণ্ডব করেছে৷ তবে তাতে খুব একটা লাভ হবে না৷ আমি সোদপুরে যাব৷ সেখানে গিয়ে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করব৷ দেখি কত কালো পাতাকা দেখায় তৃণমূল৷’’
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ভোটের দিন নিজের দুর্গে বসে সেই ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ বলে মন্তব্য করা দিলীপ ঘোষ হঠাৎ কেন তৃণমূলী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেন? তাও আবার ফল ঘোষণার দু’দিন পর৷ হারের পিছনে কী এনআরসি আতঙ্ক কাজ করেছে? নাকি, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল৷ ফল ঘোষণার দিনই ফেসবুক পোস্ট করে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ত্ত্বকে উস্কে দিয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো অনুপম হাজরা৷ ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বারাসতে মণ্ডল সভাপতি থেকে বিজেপি সভাপতির অপসারণ নিয়েও চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি৷ ফলে, তিন উপনির্বাচনে হারের পর থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের কাছে বেসামাল গেরুয়া শিবির৷