নয়াদিল্লি: দিল্লির নির্বাচনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন যে আপ-এর দিকেই থাকবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই৷ জাতীয় রাজনীতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বাংলার মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতা চোখে পড়ে৷ সেই কারণেই, নতুন চমক নেই৷
কিন্তু , দিল্লির নির্বাচনে বাঙালিদের ভূমিকা কতটা? কেজরিওয়ালকে কী বাঙালিরা সাহায্য করতে পারবেন? সমস্ত বাঙালিই কী বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন?
দিল্লিতে ২ লক্ষেরও বেশি বাঙালি থাকেন৷ বাংলা মিডিয়াম স্কুলও রয়েছে৷ চিত্তরঞ্জন পার্ক, ট্যাগর পার্ক, মহাবীর এনক্লেভ, নিবেদিতা এনক্লভে বাঙালি বসতি৷ ইতিমধ্যেই বাংলার ১৮ জন সাংসদকে প্রচারে নামিয়েছে বিজেপি৷ প্রচার শেষ৷ দিলীপ ঘোষ, লকেট চাটার্জী পুরোদমে প্রচার শেষ করেছেন৷ অন্যদিকে আপ প্রার্থী রাঘব চাড্ডাকে সমর্থন করে টুইট করয়েছেন তৃনামল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান৷
শুরু থেকেই উন্নয়নের প্রশ্নেই দিল্লিতে ভোটের প্রচার শুরু হয়েছিল৷ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা বলেই ভোট চাইছিলেন৷ প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিও উন্নয়নের ইস্যুতে কেজরিওয়ালকে বিদ্ধ করার চেষ্টা করছিলেন৷
কিন্তু, হঠাৎই সব বদলে গেল৷ সিএএ বিরোধীরা শাহীনবাগে জমায়েত করতে লাগলেন৷ উন্নয়ন ছেড়ে বিজেপি ধর্মীয় তাস খেলতে লাগল৷ দিল্লির আকাশে-বাতাসে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং পাকিস্তান-বিরোধী গরম বক্তব্যের বিষবাষ্প ভরে যেতে লাগল৷ বিজেপি প্রমান করতে সচেষ্ট হল, শাহীনবাগের পক্ষে দাঁড়িয়ে কেজরিওয়াল নিজেকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করেছে৷ এক বিজেপি এমএলএ বলেই ফেললেন, নির্বাচনের দিন ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ৷ বিজেপির পক্ষ নিলে ভারত জিতবে৷ আপের পক্ষ নিলে জিতবে পাকিস্তান৷
সেক্ষেত্রে দিল্লির ভাগ্য নির্ধারণ বাঙালি ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে৷ বাঙালি ভোটের দিকে তাকিয়ে কেজরি ও শাহ৷ এযেন ঠিক শ্রীকৃষ্ণের স্বরণে অর্জুন এবং দুর্যোধন৷ কাকে সহায়তা করবেন কৃষ্ণ সেটাই দেখার৷