আজ বিকেল:“দিল্লি তো বাহানা হ্যায়, ইঁহা পর ভাতিজে কো জমানা হ্যায়।” বাংলায় ভোট প্রচারে এসে ফের দিদিকে সাঁড়াশি আক্রমণ মোদির। আজকে চতুর্থ দফা ভোটে রাজ্যে আটটি আসনের নির্বাচন হয়ে গেল। এবার দিদিকে বিপাকে ফেলতে তাঁর ঘরেই সিঁদ কাটার পরিকল্পনা করলেন মোদি। বললেন, তৃণমূলনেত্রীকে দলের প্রত্যেকে ভয় পান। আসলে এটাতো দিদির খেল। দিল্লিতে যেমন মা ছেলের জমানা চলেছে। এখানে তেমনই পিসি ভাইপোর বাজার। মমতা দিল্লি দখলের ডাক দিচ্ছেন তো। দিল্লি অনেক দূর। এখানে তো অন্য খেলা। আসলে নিজে দিল্লির দিকে এগিয়ে এরাজ্যে ভাইপো অভিষেকের ঘাঁটি শক্ত করতে চাইছেন দিদি।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান নিয়ে অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ রয়েছে। প্রথমে যুবা ও পরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে না হলেও দলের অনেক নেতাই উষ্মা প্রকাশ করে থাকেন। এবার সেই ক্ষোভকেও যেন কাজে লাগানোর চেষ্টা দেখা গেল মোদীর বক্তব্যে।
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হলেই রাজ্য বিজেপি অফিসে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের লাইন লেগে যাবে বলে অনেক আগে থেকে হুঙ্কার দিয়ে এসেছেন মুকুল রায়। কিন্তু সেই গর্জনের তুলনায় সামন্যই বর্ষণ হয়েছে। তবেকখনও সব্যসাচী দত্ত কখনও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা আদতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতরে অবিশ্বাসের আবহ তৈরি করেছে। এদিন সেই অস্ত্রেই যেন ধার দিলেন মোদী। তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে ৪০ জন শাসকদলের বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করেছে।