মীনাক্ষীর নেতৃত্বে ভরসা রাখতে পারছে না সিপিএম? উঠছে নানা মত

‘ক্যাপ্টেন’-এর নেতৃত্ব নিয়ে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন (Minakshi Mukherjee leadership) ‘ক্যাপ্টেন’-এর নেতৃত্ব নিয়ে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন উঠে গেল? লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে দলের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে…

Minakshi Mukherjee CPIM leadership

‘ক্যাপ্টেন’-এর নেতৃত্ব নিয়ে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন (Minakshi Mukherjee leadership)

‘ক্যাপ্টেন’-এর নেতৃত্ব নিয়ে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন উঠে গেল? লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে দলের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। এমনকী সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দলের এই যুবনেত্রীকে ‘ক্যাপ্টেন’ বলেও অভিহিত করেছিলেন। তবে ভোটের ফলাফল বলছে এবারেও বাংলায় শূন্যই থেকে গিয়েছে সিপিএম তথা বামেরা।

আলিমুদ্দিনে ফিসফাস শুরু (Political leadership crisis)

এরপরই মীনাক্ষীর নেতৃত্ব নিয়ে দলে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য। নাম না করে মীনাক্ষীকে ‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে যেভাবে সিপিএম তুলে ধরেছিল তার সমালোচনা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকলে হবে না, থাকতে হবে মাঠে ময়দানে ও বুথে বুথে। এছাড়া মীনাক্ষীকে দল এবার যতটা গুরুত্ব দিয়েছে তা নিয়ে আলিমুদ্দিনে ফিসফাস শুরু হয়ে গিয়েছে, এমনটাই সূত্রের খবর।

‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের প্রভাব (West Bengal elections)

‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের সিংহভাগ ভোট তৃণমূল পাওয়ার কারণেই তারা এতটা সাফল্য পেয়েছে বলে সকলেই মনে করছেন। অথচ সিপিএম প্রথম থেকেই মহিলা ভোটকে বিশেষ টার্গেট করেছিল। গত ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের পাঁচ মহিলা প্রার্থীকে নিয়ে সেদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন তিনি।

সেদিন তিনি বলেছিলেন,

“লোকসভায় সিপিএমের প্রার্থীরা যেখানে নির্বাচিত হবেন সেখানে মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি ও মহিলা আত্মমর্যাদা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যৌন হেনস্থা ও গার্হস্থ্য হিংসার মতো বিষয়ে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি হস্তক্ষেপ করবে। আর আত্মরক্ষা সমিতির উদ্যোগে মহিলাদের মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ ও স্বনির্ভর গড়ে তোলার জন্য সমবায় ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে মহিলাদের।”

এর পাশাপাশি নির্যাতিতাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মীনাক্ষী। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন,

“একজন মহিলার মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য যা যা দরকার, যে মৌলিক বিষয়গুলি নিশ্চিত হওয়া উচিত, আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে সেই কাজগুলিতেই অগ্রাধিকার দেবেন। দলের প্রার্থীরা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলে সাংসদ তহবিলের এক-তৃতীয়াংশ টাকা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য খরচ করা হবে।”

মহিলা প্রার্থীদের সামনে রেখে  একগুচ্ছ ঘোষণা

সেদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মীনাক্ষীর পাশাপাশি ছিলেন বোলপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান, শ্রীরামপুরের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর, দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, আসানসোলের প্রার্থী জাহানারা খান এবং ঝাড়গ্রামের প্রার্থী সোনামনি টুডু (মুর্মু)। ঘটনা হল সিপিএম একমাত্র দল এবং মীনাক্ষী একমাত্র রাজনীতিক, যিনি দলের মহিলা প্রার্থীদের সামনে রেখে শুধুমাত্র মহিলা কেন্দ্রিক একগুচ্ছ ঘোষণা করেছিলেন। যা কোনও দলকে করতে দেখা যায়নি।

দিশেহারা হয়ে পড়েছে সিপিএম (CPIM party crisis)

কিন্তু এরপরেও মহিলারা দু’হাত উজাড় করে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। কারন সেই একটাই, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ‘গেমচেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করেছে। তাই মীনাক্ষীকে যে বা যারা দোষারোপ করছেন তাঁদের কিন্তু এই দিকটাও ভাবতে হবে। সবমিলিয়ে মীনাক্ষীর নেতৃত্ব তথা দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন উঠেছে তাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সিপিএম।

আরও পড়ুন-

অধীর-জল্পনা! তিনি কী এবার রাজ্যসভায়? 

একটি কেন্দ্রে হার মানতে পারছে না বিজেপি, এ কোন সংকেত?

রাজনীতির ময়দানে হঠাৎ ‘ভ্যানিশ’ নওশাদ! ফের কী প্রাসঙ্গিক হবেন?

কংগ্রেসের ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ কারা? তাঁদের মোকাবিলা কীভাবে?

Politics: CPM’s poor performance in the elections has raised questions over MinakshiMinakshi Mukherjee’s leadership. Read more about the crisis in the party.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *