নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের জোট জট অব্যাহত বাম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে৷ সোমবার দু’দিনের বৈঠকেও জারি রয়েছে জোট নিয়ে টানাপোড়েন৷ তুমুল বিতর্কের আবহে বাম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কংগ্রেসের জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না বামফ্রন্ট! একই ভাবে বামেদের জেতা আসনেও প্রার্থী দিতে পারবে না কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের হাত ধরা নিয়ে সমস্যা না থাকলেও আসন সমঝোতা নিতে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে বিতর্কের আবহে বেশ লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছু চমক দিতে চলেছে বাংলার ‘লালপার্টি’৷
সূত্রের খবর, একাধিক বিধায়ককে বিধানসভা থেকে টেনে লোকসভায় টিকিট দিতে চলেছে বামফ্রন্ট৷ দু’একজন আইনজীবীকেও দেওয়া হতে পাতে ‘লালপার্টি’র টিকিট৷ তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়কের নাম৷ নতুন মুখ তুলে আনা নিয়ে বারাবর অনীহা রয়েছে বাম শিবিরে৷ এবারের নির্বাচনেও ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে সূত্রে খবর৷
তবে, বামেদের এই প্রস্তাব আদৌ কংগ্রেসের তরফে নেমে নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে৷ জোট জটের পেছনে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ নিয়ে টানাপোড়েন এখনও কাটেনি৷ জোট জল্পনায় জল ঢেলে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে প্রদেশ কংগ্রেস৷ একদিকে বামেদের অনড় মনোভাব, অন্যদিকে দলীয় কোন্দলের সাঁড়াশি চাপে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনার রাস্তা প্রায় বন্ধের মুখে। ফলে গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো আসন ভাগাভাগি তো দূরের কথা, এআইসিসির সৌজন্যে তৃণমূলের অনুগ্রহ মিলবে কি না, সে বিষয়েও রাজ্য কংগ্রেসের একাংশ কৌতূহলী হয়ে উঠেছে।
রাজ্যে পালাবদলের শরিক থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে সখ্য বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কাটতে শুরু করেছিল কংগ্রেসের। ২০১১ সালের পর থেকে দল ভাঙিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। শাসক জোটের শরিক থেকে বিরোধী আসনে বসা ইস্তক একের পর এক নির্বাচিত পুর বোর্ড থেকে জেলা পরিষদ এবং বিধায়ক ভাঙিয়ে শিবির ভরেছে শাসকদল।