বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর তাণ্ডব: কড়া সমালোচনা পলিটব্যুরো’র

বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর তাণ্ডব: কড়া সমালোচনা পলিটব্যুরো’র

কলকাতা: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় সাম্প্রদায়িক হিংস্রতা ও সংঘর্ষের প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে সিপিআই (এম) এর পলিট ব্যুরো তার গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ সরকার হিংস্রতা রোধে বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আশ্বাস দিয়েছে যে এই সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে। দেশব্যাপী অভিযানে কমপক্ষে চারজন পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সিপিআই (এম) পলিটব্যুরো নিজের বার্তায় বলেছে, বাঙালিরা সেদেশে, শতাব্দী ধরে, মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে পূজা উৎসব সুন্দরভাবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশ এই ঐতিহ্য বরাবর পালন করে। সিপিআই (এম) এর পলিট ব্যুরো আশা করে যে এই ঐতিহ্য বজায় থাকবে এবং শক্তিশালী হবে। ধর্মীয় মৌলবাদের কার্যক্রমের বৃদ্ধি আমাদের অঞ্চলের অনেক দেশের জন্য সাধারণ উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই শান্তি, স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সকল প্রচেষ্টা করতে হবে।

বাংলাদেশে দুর্গাপুজো মণ্ডপগুলির উপর আক্রমণ অব্যাহত এবছরেও। তবে, শেখ হাসিনা সরকার কড়া হাতে দুষ্কৃতীদের দমন করার চেষ্টা করছে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সে দেশের অগ্রণী সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পুজো মণ্ডপগুলিতে হামলা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শুক্রবার – বিজয়া দশমীর দিন সকালেও ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ নিজে থেকেই হয়ে দুটি মামলা করেছে। বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। পিছু হটেছে দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় রয়েছে পুলিশ এবং বিজিবি’র জওয়ান’রা। শান্তি রক্ষার প্রচেষ্টায় কমতি রাখছেন না তারা।

অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে – জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ম যার যার। উৎসব সবার। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এখানে সকলে উৎসবে শামিল হন। কিন্তু কিছু দুষ্টচক্র এই মিলনকে নষ্ট করতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি দুষ্টচক্র বলতে কাদের বোঝাতে চেয়েছেন। তথ্যভিজ্ঞ মহলের অনেকেই মনে করেন তিনি বি এন পি এবং জামাতের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

কুমিল্লার ঘটনা ‘অত্যন্ত দূর্ভাগ্য জনক’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “কিছুদিন আগে কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার ব্যাপক তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি এবং অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই এবং আমরা তা করতে পারব। কারণ, এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা বের করা যাবে এবং সে যে–ই হোক না কেন, যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। আর আমরা তা করেছি এবং করব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *