নয়াদিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসায় জেডিইউ ছাড়লেন পি কে। তবে পারফরম্যান্স না দেখতে পারলে কী মমতা তাঁর উপর নির্ভরতা দেখবেন? সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, মোহভঙ্গ হতে মমতার মুহূর্তও সময় লাগে না। অতীতে মুকুল রায়, মদন মিত্রদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের ওঠাপরা সর্বজনবিদিত।
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছেন প্রশান্ত। কিন্তু, বিজেপি নেতারা বলেন, বিজেপির সাংগঠনিক পদ্ধতি হুবহু ‘টুকলি’ করেই তৃণমূলকে এরাজ্যে ভিটামিন দিতে চাইছেন ‘পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজিস্ট’ প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের পর সেকথা জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য বিজেপিও।
তবে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্য আসে। 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির মাধ্যমে আম জনতার মন থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অনেক কমিয়ে দিতে পারছেন পিকে, তা অনেকই বলছে। সেই কারণেই বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের ভালো ফল হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু, আসন্ন কলকাতা পুর সভার নির্বাচন বা রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। দল তাঁর দিকেই তাকিয়ে। কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পিকে।
সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের মহাগুরুত্বপূর্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য তাকে মমতার আরো কাছে এনে দেবে। জেডিইউ ইতিমধ্যেই পি কে'কে করোনা ভাইরাস বলেছে। মমতা'র তৃণমূলে তিনি ত্রাতা। ভিটামিন ক্যাপসুল। তবে, সাফল্য না পেলে পিকে ভাইরাস হয়েও যেতে পারেন।