কলকাতা: ফের নবান্ন-রাজভবনের সংঘাত৷ বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর ‘সৌজন্য’ ঘিরে ফের তপ্ত বাংলার রাজনীতি৷ খোঁচা, পাল্টা খোঁচায় চলছেই৷ সকালে রাজ্যপালের টুইট কটাক্ষ, দুপুরে পাল্টা বিধানসভায় তৃণমূলের খোঁচা ঘিরে নতুন করে মাত্রা পেয়েছে নবান্ন-রাজভবনের সংঘাত৷
মঙ্গলবার রাজ্যের আমন্ত্রণে অংশ নিয়ে রাজ্যপাল বিধানসভায় হাজির হয়েছিলেন সংবিধানদিবসের অনুষ্ঠানে৷ কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানে দেখা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বলতে দেখা যায়নি রাজ্যপালকে৷ মুখ ঘুরিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও৷ বিধানসভায় দু’দুবার রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি দেখা হলেও উভয় উভয়কে এড়িয়ে যাওয়া ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷
দু’জনের দেখা হলেও কথা না হওয়ার প্রঙ্গে মুখ খোলেন স্বয়ং রাজ্যপাল৷ আজ ট্যুইট করে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘আমি সৌজন্য বিনিময়ে কার্পণ্য করি না৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা রয়েছে৷ কিন্তু, বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর ব্যবহার আমাকে হতাশ করেছে৷ আমি হতভম্ব৷ সৌজন্য বিনিময় করতে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে, মুখ্যমন্ত্রী না এলেও অমিত মিত্র থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান-সহ অন্য বিধায়করা সৌজন্য বিনিময় করে গিয়েছেন আমার সঙ্গে৷’’ একই সঙ্গে রাজভবনে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রতিনিদ্ধ না থাকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল৷
রাজ্যপালের এই টুইটের পর পাল্টা দিতে ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে তাঁর পদে থাকা জরুরি কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ গত তিন বছরে রাজভবনের খরচ বৃদ্ধি থেকে রাজভবন থেকে সরকারের উপর ছড়ি ঘোরানোর অভিযোগ তুলেছেন পার্থ৷ গত তিন বছরে রাজভবনের খরচ আড়াইগুণ কেন বাড়াল তা নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন৷ মনোনীত পদাধিকারীক জনপ্রিয় সরকারের উপর উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বলেও তুলেছেন অভিযোগ৷ তাঁর ওই পদের থাকার প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়েও রাজ্যপালকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী৷
নবান্ন-রাজভবনের সংঘাতের আবহে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা৷