বাংলায় সরকার গড়বে কংগ্রেস, হবে প্রগতী: রাহুল

চাঁচোল: কংগ্রেস দেশের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে চায়। সকল ভাষাভাষি ধর্মের মানুষদের একসঙ্গে রাখতে চায়। আর বিজেপি সবাইকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে চলেছে। হিংসা হানাহানি নিরন্তর চলছে। আর পাল্লা দিয়ে মিথ্যে কথা বলে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি কি বিকাশ করেছে তা আপনাদের থেকে ভাল কেউ জানে না। একবছরের মধ্যে দুকোটি যুবককে চাকরি দেবে বলেছিল,

বাংলায় সরকার গড়বে কংগ্রেস, হবে প্রগতী: রাহুল

চাঁচোল: কংগ্রেস দেশের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে চায়। সকল ভাষাভাষি ধর্মের মানুষদের একসঙ্গে রাখতে চায়। আর বিজেপি সবাইকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে চলেছে। হিংসা হানাহানি নিরন্তর চলছে। আর পাল্লা দিয়ে মিথ্যে কথা বলে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি কি বিকাশ করেছে তা আপনাদের থেকে ভাল কেউ জানে না। একবছরের মধ্যে দুকোটি যুবককে চাকরি দেবে বলেছিল, কারোর কপালেই শিকে ছেঁড়েনি। নীরব মোদি, মেহুল চোকসিদের চৌকিদার নরেন্দ্র মোদি, গোটা ভারতবাসীর তিনি কেউ নন। অনিল আম্বানির জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন মোদি। সেই টাকা আম্বানির পকেটে ঢেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে লোক দেখানো দেশভক্তির বুলি আওড়ায় মোদি।

তাঁর মতো প্রবঞ্চক কমই আছে, নোটবাতিলের পর তো প্রত্যেক ভারতীয়র অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন, কার অ্যাকাউন্টে টাকা গেল দেখেছেন? গত কয়েক বছরে ১৫ জনের সাড়ে তিন লক্ষ ঋণ মকুব করেছেন। অন্যদিকে দেশের কৃষকদের ঋণ মকুব করেনি, সরকারের এই আচরণে অতিষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন কৃষকরা। কিন্তু কংগ্রেস কথা রেখেছে তাইতো রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগঢ়ে ক্ষমতায় আসার পরই কংগ্রেস কৃষিঋণ মকুব করে দিয়েছে।

বাংলার মানুষ অনেক সহ্য করেছে, আর নয়। প্রথমে বাম জমানায় সরকারের বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে। পরে তৃণমূল সরকার। এখনকার মুখ্যমন্ত্রী তো কারোর কথা শোনেন না, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের মতামত জানার চেষ্টা করেন না যা মনে আসে তাই করেন। আর চৌকিদারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেসব সরকারি পদ এখনও খালি পড়ে আচে বিজেপির জমানায়, তা থাকবে না কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে। দিল্লির রাশ একবার কংগ্রেসের হাতে আসুক তাহলেই সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হবে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিপুল রদবদল হবে। গরীব মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা দেবে কংগ্রেস, সবাইকে ন্যূনতম রোজগারের ব্যবস্থা করে দেবে। যেকোনও ধর্মের ভাষাভাষি গরীব ভারতীয় সরকরি অনুদানের সুযোগ পাবে।

মালদহের আম বিক্রির ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখানেই কারখানা চৈরি করে আমের তৈরি আচার ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য তৈরি হবে।সেগুলি দেশে ও বিদেশে প্যাকেটজাত করার পর সরবরাহ হবে। গোটা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য রাস্তাঘাটের উন্নতিও হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে মালদহের সম্পর্ক হৃদয়ের আত্মার রাজনীতির নয়। কংগ্রেসর খারাপ ভাল সবসময়েই মালদহের মানুষ পাশে ছিল,আগামীতেও থাকবে। বাংলায় কংগ্রেস সরকার না এলে এখানে উন্নতি সম্ভব নয়। প্রতিশ্রুতি দিলাম, বাংলায় রীতিমতো লড়াই করে সরকার গড়বে কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =