আজ বিকেল: ক্ষমতায় এলে এই করে দেব তাই করে দেব, জনগণকে দুঃখ দুর্দশাহীন দেশ উপহার দেব। বেকার সমস্যা থাকবে না, সবার বাড়ি থাকবে, খাদ্য স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে, বাক স্বাধীনতা থাকবে। ভোটের আগে নেতাদের এই বুলি মানুষের অপরিচিত নয়। পাঁচবছর আগে লোকসভা ভোট জিতে নিতে চাওয়ালা তথা বর্তামেনর চৌকিদার কম লোভ দেখাননি। মাঝে নোটবাতিলকে জনমনে জায়গা করে দিতে ফের ঢপ দিলেন, আর সেটি হল কালো টাকা ফিরলেই প্রতি ভারতীয়র অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দেবে সরকার। দুবছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে, এখনও নোটবন্দি যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল তা আলোচনার বিষয় থেকে গিয়েছে। ১৫ লক্ষ দূরে যাক, কালোটাকা দেশে ফেরেনি, জাল টাকা উদ্ধার হয়নি। উল্টে জনগণের টাকা মেরে ব্যাংককে পথে বসিয়ে দেশ ছেড়েছেন, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি, রাহুল চোকসির মতো ধনী ভারতীয়রা।
ফের ভোট এসেছে, চাওয়ালা এবার চৌকিদার সেজে দেশবাসীর টাকা সুরক্ষিত রাখার দায়িত্বভার নিতে চান, তাই বার বার করে হাতজোড় করছেন একবার ফিরিয়ে আনার জন্য। সেইসঙ্গে বিভেদের রাজনীতি করে বিদ্বেষের বিষ ছড়ানো অব্যাহত রয়েছে। বাংলায় ইমামভাতার প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা,। কংগ্রেসও কম যায় না, রাহুল গান্ধী তো বলেই দিলেন গরীব ভারতবাসী বছরে ৭২ হাজার করে টাকা পাবে, যদি কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে। অর্থাং কোনও বাড়ির কর্তার রোজগার ।দি চার বা আট হাজার টাকার মধ্যে হয় সরকার যেভাবেই হোক তা বাড়িয়ে১২ হাজার টাকা করে দেবে। গ্রাসাচ্ছাদানের জন্য যা ন্যূনতম প্রয়োজন তা পূরণ করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বলাবাহুল্য, দেশের সার্বিক দারিদ্রতা দূর করতে এই নীতির কথাই বলেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর অমর্ত্য সেন। কংগ্রেস সেই নীতিকেই অনুসরণ করতে চায়। তাই যদি এবার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে তবে দেশবাসী ডক্টর সেনের আর্থিক নীতির সুফল পাবে। বাকিটা তো সময়ের হাতে।