ভোপাল: নভেম্বর মাসে উপনির্বাচন রয়েছে। তার আগে বিজেপি সরকারের চিন্তা বাড়াল মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে বিজেপির ১৪ জন অ-বিধায়ক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গেল মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সদস্যরা। তাদের দাবি, বিজেপি সরকারের এই মন্ত্রীরা একাধিকবার নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
যদিও কংগ্রেসের দাবি পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকার। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপির কোন মন্ত্রী কখনোই নির্বাচনী নিয়মাবলী লংঘন করেনি। কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই ১৪ জন মন্ত্রী এ বছরের শুরুতেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন, এবং আগামী নভেম্বর মাসে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়েই লড়বেন। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ পত্র দায়ের করে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, এই মন্ত্রীরা নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে ভোটদাতাদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এমনকি, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ভোট দখল করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হচ্ছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সিং সালুজা।
তাঁর আরও দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মন্ত্রীদের নিজেদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক, যাতে আগামী উপনির্বাচন স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা যায়। যদিও এই দাবীর প্রেক্ষিতে পাল্টা দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র পঙ্কজ চতুর্বেদী। তিনি স্পষ্ট বলেন, কংগ্রেস যে দাবি করছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং তারা বিজেপিকে হারানোর জন্য এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে, এখন যা ইচ্ছা তাই অভিযোগ তুলছেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা একেবারেই নির্দোষ, জনতাই তার প্রমাণ দেবে, এমনই মত তাঁর।
প্রসঙ্গত, ২৮টি আসনের জন্য মধ্যপ্রদেশে উপনির্বাচন হবে ৩ নভেম্বর। কংগ্রেসের ২৫ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার ফলে এবং ৩ জন বিধায়কের মৃত্যু হওয়ার ফলে, এই আসনগুলিতে উপনির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে।