অধীর থাকায় লড়াই লড়াই গন্ধ ছিল, নয়া প্রদেশ সভাপতি চাঙ্গা করতে পারবেন দলকে?

Adhir Chowdhury resignation প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন বলে সদ্য জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। শীঘ্রই কংগ্রেস হাইকমান্ড নতুন প্রদেশ সভাপতির নাম…

Adhir Chowdhury resignation

Adhir Chowdhury resignation

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন বলে সদ্য জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। শীঘ্রই কংগ্রেস হাইকমান্ড নতুন প্রদেশ সভাপতির নাম ঘোষণা করে দেবেন। সকলেই মনে করেন কংগ্রেসের যে সামান্য হলেও ভোট শতাংশ রাজ্যে রয়েছে, বা কিছু কিছু এলাকায় কংগ্রেস সাধ্যমতো লড়াই দিচ্ছে, সেখানে অধীর সরে যাওয়ায় সেটুকুও থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। (Adhir Chowdhury resignation)

Bengal Congress new president

আসলে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় কংগ্রেস কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও এত দিন অধীর প্রদেশ সভাপতি থাকায় কিছুটা হলেও বাংলা জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা লড়াই লড়াই গন্ধ ছিল। কিন্তু নতুন প্রদেশ সভাপতির হাত ধরে রাজ্যে কংগ্রেস আদৌ চাঙ্গা হতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে। নতুন সভাপতি হিসেবে ইতিমধ্যেই চারটি নাম সামনে এসেছে। তাঁরা হলেন নেপাল মাহাতো, শুভঙ্কর সরকার, আবদুস সাত্তার ও শঙ্কর মালাকার। যদিও নেপাল এবং শঙ্কর মূলত জেলা কেন্দ্রিক নেতা।

Political leadership

কলকাতার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ কম। এছাড়া রাজ্য জুড়ে তাঁদের সেই পর্যায়ের ক্যারিশ্মা নেই যাতে তাঁরা সর্বস্তরের কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, এমনটাই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। তবু শত প্রতিকূলতার মধ্যেও শঙ্কর, শুভঙ্কর এবং নেপাল কংগ্রেস ছেড়ে যাননি। অন্যদিকে সিপিএম ছেড়ে কয়েক বছর আগে কংগ্রেসে এসেছিলেন আবদুস সাত্তার। আবদুস ও শুভঙ্কর দু’জনেই মূলত কলকাতা কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁদের মধ্যে থেকে একজনকে সভাপতি করা হতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে।

West Bengal politics

এছাড়া তাঁদের বয়স অন্যদের থেকে কম। এমনিতেই রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। তাই নতুন করে আর কী খারাপ হবে, এমনটাই ভাবছেন রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে নবীন নেতার উপর ভরসা করতে পারেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। উত্তরবঙ্গে আবার শঙ্করের মোটামুটি বলার মতো সংগঠন রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বিধায়ক থাকার সুবাদে নেপাল মাহাতোর রাজ্য জুড়ে একটা পরিচিতি আছে। সবচেয়ে বড় কথা অধীরের সঙ্গে নেপালের সমীকরণ বেশ ভাল। তাই পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি নেপাল হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

Congress strategy

এদিকে সূত্রের খবর, নতুন প্রদেশ সভাপতি হিসেবে কার নাম ঘোষণা করেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সেদিকে বিশেষ নজর রয়েছে সিপিএমের পাশাপাশি তৃণমূলেরও। সিপিএম চাইছে অধীর ঘনিষ্ঠ কারও নাম পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হোক। সেক্ষেত্রে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেসের জোট অক্ষুণ্ন থাকবে বলে আলিমুদ্দিন মনে করছে।

Bengal politics

অন্যদিকে এত দিন তৃণমূলের সেভাবে বিরোধিতা না করে আসা কাউকে প্রদেশ সভাপতি করলে আগামী দিনে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই সেদিকে নজর রয়েছে তৃণমূলের।যথারীতি বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সবমিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কংগ্রেস প্রাসঙ্গিকতা হারালেও এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা কিন্তু থেমে থাকছে না।

 

আরও পড়ুন- 

শুধু ঠাকুরবাড়ি থেকেই ৭ জন হয়েছেন মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক! 

‘পরিবর্তন হবে হিন্দুত্ববাদেই’, ফের নিজের সিদ্ধান্তে অনড় শুভেন্দু!

রাজনীতিতে বহু অঘটনের সাক্ষী বাংলা, কিন্তু মমতা-অধীরের ‘সন্ধি’ কী কোনও দিন হবে?

সামনেই একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট, তাই ‘অগ্নিবীর’ নিয়ে এতটা টেনশনে বিজেপি?

পুর নিয়োগ কাণ্ড, দোষীরা শাস্তি পেলেও যোগ্যরা চাকরি ফিরে পাবেন তো?

‘রাহুলকে হিংসা করেই নাটক মমতার’, তোপ অধীরের, চেনা মেজাজেই সভাপতি

‘যে যায় লঙ্কায়’… কথাটা কতটা সত্যি বোঝাল ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটের

 

Politics: With Adhir Chowdhury resigning as Bengal Congress president, the search for a new leader begins. Will the new president revitalize the party? Candidates include Nepal Mahato, Shubhankar Sarkar, Abdus Sattar, and Shankar Malakar. Political implications ahead.