সুর নরম কংগ্রেসের! শচীনদের জন্য আলোচনার দরজা খোলা, বললেন মুখপাত্র

সুর নরম কংগ্রেসের! শচীনদের জন্য আলোচনার দরজা খোলা, বললেন মুখপাত্র

নয়াদিল্লি:  মধ্যপ্রদেশের পর রাজস্থান। সমীকরণ যেন একই অঙ্কে চলছে। কংগ্রেস বিধায়কদের দলত্যাগ করার ফলস্বরূপ রাজ্যের শাসন বিজেপির হাতে চলে গেছিল। সেভাবেই এবার রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট কংগ্রেস ত্যাগ করে দিল্লি হাজির হয়েছেন গতকাল। রাজ্যের সমস্ত কং বিধায়কদের বৈঠক উপেক্ষা করেই দিল্লি চলে গিয়েছিলেন শচীন।

রাজস্থান কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব অবিনাশ পান্ডে জানিয়েছিলেন, যে সমস্ত বিধায়ক বৈঠকে উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু পরদিনই হাই কম্যান্ডের তরফে সুর নরম হয়ে গেল। সংবাদসংস্থা এএনআই টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, সেখানে অন্যরকম কথা বলতে শোনা গেল কংগ্রসের অন্যতম মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার গলায়৷ বললেন, তাঁদের দল পরিবারের মতো। এখানে কেউ যদি কোনও কারণে অখুশি হয় তাহলে সে পরিবারকে ধ্বংস করে না। বরং পরিবারের বাবা-মা, কাকা-জ্যাঠাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে।

রণদীপ আরও বললেন, শচীন বা কংগ্রেসের আর যে কোনও বিধায়কই হোক না কেন, সবার জন্য আলোচনার রাস্তা সর্বদা খোলা আছে। সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর নাম নিয়েই তিনি বলেছেন, সমস্ত কং বিধায়ক পার্টি ফোরামে নিজের অভাব-অভিযোগ ব্যক্ত করতে পারে। দল খোলা মনে সব সমস্যার সমাধান করবে। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের হেভিওয়েট কং নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলত্যাগ করার বড় মাশুল দিতে হয়েছিল কংগ্রসেকে। ক্ষমতা চলে গিয়েছিল বিজেপির হাতে।

মধ্যপ্রদেশের কায়দাতেই দলের একের পর এক নেতাকে ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির, এমনটা মনে করছেন অনেকেই। এদিকে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা শচীন পাইলটের হাতে অন্তত ৩০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তিনি দল ছাড়লে বা বিজেপিতে যোগ দিলে গদি উলটে যেতে পারে বলে জোর আশঙ্কা। তবে রণদীপ সুরজেওয়ালা অবশ্য বলছেন, রাজস্থানে সরকার পতনের কোনও প্রশ্নই নেই। পাঁচ বছরের সময়সীমা বহাল তবিয়তে পার করবেন তাঁরা এমনটাই মত তাঁর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘পরিবার’ প্রসঙ্গ তোলা হল কেন, তা নিয়ে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন অনেকেই।