বামেদের সঙ্গে জোটে না, পৃথক প্রার্থী দিতে চাইছে কংগ্রেস?

কলকাতা : বামেদের সঙ্গে জোট মানতে রাজি নয় কংগ্রেসের একাংশ| শুক্রবার বাম তালিকা প্রকাশের পর একথা জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের পরিষদীয় প্রধান আব্দুল মান্নান| তাঁরা জানান, ২-১ দিনের মধ্যেই কংগ্রেস প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হবে| সব আসনেই প্রার্থী দেবে কংগ্রেস| প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র অবশ্য এখনও জোটের দরজা খুলে রাখতে চাইছেন| গত কয়েক মাস ধরেই

বামেদের সঙ্গে জোটে না, পৃথক প্রার্থী দিতে চাইছে কংগ্রেস?

কলকাতা : বামেদের সঙ্গে জোট মানতে রাজি নয় কংগ্রেসের একাংশ| শুক্রবার বাম তালিকা প্রকাশের পর একথা জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের পরিষদীয় প্রধান আব্দুল মান্নান| তাঁরা জানান, ২-১ দিনের মধ্যেই কংগ্রেস প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হবে| সব আসনেই প্রার্থী দেবে কংগ্রেস| প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র অবশ্য এখনও জোটের দরজা খুলে রাখতে চাইছেন|

গত কয়েক মাস ধরেই নানা মহলে প্রশ্ন ও বিতর্ক উঠছিল বাম-কংগ্রেস এবং তৃণমূল-কংগ্রেস জোট নিয়ে| ২৫ জানুয়ারি গৌরব গগৈ, সোমেন মিত্র-সহ আরও অনেকে বৈঠকে বসেন| শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ জানিয়ে দেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট নয়৷ রাজ্যে কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস জোটবদ্ধ হবে না৷ বিধান ভবনের বৈঠকের শেষে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সমস্তরকম সম্ভাবনা খারিজ করেন কংগ্রেস নেতারা৷ এর পর বামেদের সঙ্গে জোট হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ মাসের গোড়ায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লেখেন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র। চিঠিতে সোমেন জানান, বিজেপিকে রুখতে এবং তৃণমূলকে রাজ্য থেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট করা জরুরি। পাশাপাশি রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন যে কর্মীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সেটাও জানান সোমেন। এই দুটি আসন এখন সিপিএমের দখলে। তাই ওই দুটি কংগ্রেসকে দিতে আপত্তি আছে তাদের। এর ঠিক একদিন আগে লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ অধীর চৌধুরি।

দিল্লিতে তাঁদের দু”জনের মধ্যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে জোটের জট কাটে গত ১০ মার্চ| ঠিক হয়, বামেদের শর্ত মেনে লোকসভায় জোট করেই লড়বে কংগ্রেস। গেল। কংগ্রেস শেষমেশ রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটির দাবি থেকে সরে আসতে সম্মত হল। দিল্লির ১০ জনপথ ও এক গোপালন ভবনের মিলিউ উদ্যোগেই রফা সূত্র মিলল। ওই সন্ধ্যায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন। রায়গঞ্জে প্রার্থী মহম্মদ সেলিম আর মুর্শিদাবাদের টিকিট দেওয়া হয় বদরুদ্দোজা খানকে। উভয়েই দুই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন গত লোকসভায়। এর পরই সোমেন মিত্র তোপ দাগেন বামফ্রন্ট তথা সিপিএমের উদ্দেশ্য। রাহুল গান্ধীর কাছেও নালিশ জানান। রাজ্যের অবশিষ্ট আসনগুলি নিয়ে সমঝোতার পথ প্রশস্ত করতে কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব ১১ মার্চ নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনা শুরু করে। সিপিএমের তরফে রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তীর মতো নেতারা এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নানদের মতো কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা সারেন। কংগ্রেসের হাত থাকা চার আসন ছাড়াও উত্তর কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি আসনে প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস। সিপিএম কোনও কোনও আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই নামও কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ২৫ জনের তালিকা ঘোষণার পর সোমেনবাবু জানান, “বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে| আমরা ২-১ দিনের মধ্যে রাজ্যের কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করব|” আব্দুল মান্নান সন্ধ্যায় ‘হিন্দুস্থান সমাচারকে বলেন, “বামেরা একের পর এক সমঝোতার ভিত নষ্ট করছে| আর, নাটক করে বা ভাবের ঘরে চুরি করে লাভ নেই| আমরা ৪২ টি আসনেই প্রার্থী দেব|”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − two =