কলকাতা: সংবিধানের ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করার মতো নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর নির্দেশেই এই কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি মমতা। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, মঙ্গলবার রোড শো থেকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব এবং বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর বুধবার সকালে অমিত শাহ সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া, রাজীব কুমারকে রাজ্য থেকে তুলে নেওয়া এবং ভোটের প্রচারের সময়সীমা তারই জেরে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। বলেছেন, এটা কি সেই হুমকিরই জের? পাশাপাশি মমতার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন আরএসএস মার্কা লোকজনে ভরে গিয়েছে। এহেন সিদ্ধান্ত বেনজির। ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করতে পারে না নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্নে এদিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে জরুরি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যের উপর যে সমস্ত বিধিনিষেধ কমিশন চাপিয়ে দেয়, তখন উত্তর কলকাতায় পদযাত্রা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোটা বিষয়টি জানার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে দলের সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি এদিন রাতেই কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। মমতা বলেন, গোড়া থেকেই রাজ্যের বাহিনীকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করাচ্ছে কমিশন।
নির্বাচনের কাজে যে সব বিশেষ পর্যবেক্ষকদের আনা হয়েছে, তাঁরা সবাই অবসরপ্রাপ্ত। তাঁদের কোনও এক্তিয়ারই নেই সার্ভিস থাকা অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা সুদীপ জৈন জেলাশাসকদের হুমকি দিচ্ছেন। এমনকী অমিত শাহর রোড শো’য়ের যাবতীয় আয়োজন করার জন্য কলকাতার পুলিসকেও তিনি চিঠি দিয়েছেন। এসব করা যায় নাকি!