কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলেছেন, কেন্দ্রের যদি মনে হয় রাজ্য করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ, তবে কেন্দ্রই এর ভার নিক। কিন্তু, অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে প্রত্যুত্তরে বলেছেন, নির্বাচিত সরকারকে ফেলব কী করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এই কথা শোনার পর পাল্টা আক্রমনত্মক হলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজনের বক্তব্য, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে তো সরে যেতে হবেই৷ জনতার রায় নিয়ে এক বছরের মধ্যে সরে যেতে হবে৷ পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন৷ কেউ আপনাকে ছাড়বে না৷’’
বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন বলেন, ‘‘কৈফিয়ত দেবেন না? রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুবকের কাজ বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন …। করোনা, ডেঙ্গু, মিথ্যা তথ্যে ভরিয়ে দিয়েছেন। উমপুন সহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার বিপর্যস্ত। ব্যর্থ সরকার। গ্রামে গ্রামে তোলাবাজের বাহিনী তৈরি করেছেন৷ সেই বাহিনী চোখ রাঙাচ্ছে। আপনার ঝান্ডা সঙ্গে রেখে, কৈফিয়ত দেবেন না?’’
আরও আক্রমনত্মক হয়ে সুজনের দাবি, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে চলে যেতে হবে৷ সেটা আপনিও বুঝে গিয়েছেন৷ পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন৷ বিজেপি বা অমিত শাহ'র আঁচলের মধ্যে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন৷ এত সহজে মানুষ রেহাই দেবে না৷ কৈফিয়ত নিয়ে মানুষ ছাড়বে, বাংলার সর্বনাশের দায় আপনার। মানুষ আপনাকে বিধায় করবে। শহিদ হব, এই মনভাব নিয়ে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা করবেন না৷’’
এর আগেও মমতার সমালোচনায় সুজন বলেছিলেন, তথ্যকে গোপন করে মানুষকে বিপদে ফেলা হচ্ছে। হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে সুজন বলেন, করোনা রুগীকে অন্যদের থেকে আলাদা না করা গেলে সমগ্র হাসপাতালে তা ছড়িয়ে পড়বে। মারা যাওয়ার পর টের পাওয়া যাচ্ছে, তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এরাজ্যের (প্রশাসনের) এই অভ্যাস আছে। যেমন, ডেঙ্গুকে 'ডেঙ্গু' লেখা যাবে না। অজানা জ্বর লিখতে হবে। ডাক্তার ডেঙ্গু লিখেছিল বলে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল৷