Aajbikel

হাতের দাপটে সাফ পদ্ম, কীভাবে দক্ষিণে ঘুরে দাঁড়াবে বিজেপি? নাকি চব্বিশের আগে দক্ষিণে কোনও ঝুঁকি নয় পদ্ম শিবিরের?

 | 
two congress mlas resign ahead of Gujarat rajya sabha polls
বেঙ্গালুরুঃ কর্ণাটকে প্রচারের দাপট প্রথম দেখে দেখিয়ে এসেছেন জোড়া মস্তিষ্ক। শত কাজের মাঝেই দফায় দফায় কর্ণাটকে প্রচার চালিয়েছেন মোদী-শাহ। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর বার বার কর্ণাটকে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ জারি রাখে বিরোধীরা। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হিন্দুত্বকে সামনে  রেখে ব্যাপক প্রচার চালান। তারপরেও কী লাভ হল?  দক্ষিণ জয় করার লক্ষ্য  নিয়ে যেভাবে ২০১৮ সালে কর্ণাটকে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছিল,  ২০২৩ সালের হিসেব টা যেন অনেক বেশি পরিষ্কার। প্রচারের শেষ বেলায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা এলেন আর জয় করলেন। ছবিটা যেন এরকমই। কিন্তু এরই মাঝে প্রশ্ন,. কর্ণাটকের পর দক্ষিণের কোন রাজ্যকে করিডর বানাবে বিজেপি। বা আদৌ কি পারবে করিডর করতে। কারণ, কর্ণাটকে অনেক বদল আনার পরেও মিশন লোটাস এক কথায় মুখ থুবড়ে পড়ল। বলাই হচ্ছিল, কর্ণাটকের ভোট ফলই বিজেপির দক্ষিণের ভবিষ্যত কতটা সদর্থক তা ঠিক করবে। কর্ণাটকের ভোটফল সেই ভবিষ্যতের উপর প্রশ্ন চিহ্ন টানলো। কর্ণাটকে ভোট প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি মোদী শাহ। 

•    নরেন্দ্র মোদী নিজে ৩৩টি মিছিল, ২৮ টি রোড শো করেছেন কর্ণাটকে।

হিজাব নিষিদ্ধ করা থেকে, এনআরসি ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর আশ্বাস, বিজেপির নিয়ম-বিধি তাহলে কি ধোপে টিকলো না দক্ষিণের রাজ্যটিতে? এদিকে কেরালায় বিজেপি নিজের জোর দেখাতে প্রায় ব্যর্থ, তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যে বিজেপি বিরোধী শিবির তৈরি হয়েছে। তেলেঙ্গানায় মোদী-শাহের ডাকে বিজেপি বৃহত্ জাতীয় কর্মসূচি করলেও ফল হল না বলাই যায়। কারণ ছক কষে দক্ষিণে বিজেপির পা ফেলা তো ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে লক্ষ্য রেখেই। কর্ণাটকে পদ্ম ফোটার পর থেকেই অন্দর কোন্দল বার বার সামনে আসে। ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব তৈরি হয়। ঠিক ভোটের মুখে ইয়েদুরাপ্পাকে ভোটের দায়িত্ব দেয় বিজেপি। তাহলে কি সেই দায়িত্ব দিতেই কি দেরি করে ফেলেছিলেন অমিত-শাহ। আাপতত প্রশ্ন একটাই, দক্ষিণ ভারতে বিজেপি তাহলে কি কোনঠাসা?  কর্ণাটকের ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, দিনমজুরি শ্রমিকদের দুরবস্থা বিজেপি জমানা. বেড়েছে। কারণ, কংগ্রেসের সময় তাঁরা বিনামূল্যে রেশন পেতেন। ঠিক তৃণ থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত কর্ণাটকে বিজেপি সমালোচিত হয়েছে এভাবেই। তাই উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণকে মিশিয়ে যে মিশন লোটাস চলছিল, সেই মিশনকে অর্থহীন করেই বিজেপির দাক্ষিণাত্য নীতিকে ভুল প্রমাণ করল কর্ণাটকের ভোট ফল। এবার দক্ষিণ ঘিরে কোন পদক্ষেপে বিজেপি? চোব্বিশেপ ভোটের আগে বড় প্রশ্ন এটাই। 

Around The Web

Trending News

You May like