বিশ্বের ‘বড়দা’ হতে গিয়েই পা-হড়কেছে চিন, বাস্তবতা যে বড় কঠিন!

বিশ্বের ‘বড়দা’ হতে গিয়েই পা-হড়কেছে চিন, বাস্তবতা যে বড় কঠিন!

নয়াদিল্লি: অনেক সময় বড়-বড় দাদারাও কাদায় পা-হড়কে পড়েন। বড় দাদা হওয়ার স্বপ্ন দেখা সম্ভব, বাস্তবতা বড় কঠিন। উহান-করোনা ভাইরাস চিনকে বাস্তব সত্য উপলব্ধি করিয়েছে। দু'বছর আগে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় এসে চিনকে পৃথিবীর 'বড়দা' তৈরি করার ঠিকা নিয়েছিলেন শি জিন পিং। কিন্তু, জোট দিন গিয়েছে, স্বপ্ন ফিকে হয়ে গিয়েছে। মরিয়া চিন যখন গায়ের জোরে খাটানোর চেষ্টা করেছে, তখনও দুর্বলতাকে আশ্রয় করতে হয়েছে।

তবে, বাস্তব ছেড়ে স্বপ্নে বাঁচতে ভালোবাসে চিন। হাস্যকর হলেও চিন মন করে পৃথিবী চিন থেকেই শুরু হয়। এবং, চীন পৃথিবীর মাঝে রয়েছে। সারা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে চিন। শি জিন পিং-এর 'প্ররোচনা-যন্ত্র' দিয়ে সারা পৃথিবী জয় করতে চায় চিন। এটাই নাকি চিনের নতুন যুগ। কিন্তু, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। চিনের আগ্রাসী নীতির বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। সারা পৃথিবীতে চিনের অবস্থান দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

কেন সুখী নয় চিন? পৃথিবীর ১০টি দেশ চিনের সুখ-শান্তি ব্যাহত করছে। তার মধ্যে ৪টি দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চালাচ্ছে চিন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ তুঙ্গে। সীমান্তে তৈরি দু'দেশের সেনা। একটি দ্বীপ নিয়ে চিনের সঙ্গে ঝগড়া বেঁধেছে জাপানের। চিন নৌ-জাহাজ পাঠিয়েছিল। জাপান ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করে। তা দেখে ফিরে আসে চিনের নৌবহর। সেখানেই লাল-চিনের বীরত্ব শেষ।

যুদ্ধের জন্য একটি দেশের সব থেকে বেশি যা প্রয়োজন, তা হল খুব তাড়াতাড়ি বেশি সংখ্যক সেনাকে সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া। এই মুহূর্তের চিনের পক্ষে তা সম্ভব নয়। চিনের স্থল সেনা, নৌ-বাহিনী এবং বায়ুসেনা তাইওয়ান নিয়ে চরম ব্যস্ত। চিনের বায়ুসেনা নিরন্তর তাইওয়ানের আকাশে উড়তে চেষ্টা করছে। নৌ-সেনা দক্ষিণ-চিন সাগরের দখলদারি রক্ষা করতে ব্যস্ত। দক্ষিণ-চিন সাগরে ছয়টি দেশের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে চিন – তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া। চিন সেনা দক্ষিণ-চিন সাগরে কৃত্তিম দ্বীপ তৈরি করেছে। সেখানে সেনা যুদ্ধাভ্যাস করছে। এইখানেই শেষ নয়, পূর্ব-চিন সাগরে জাপানের সঙ্গেও ঝামেলা বাধিয়েছে চিন। চিনা যুদ্ধ জাহাজ কিছুদিন আগে জাপানের জলসীমায় প্রবেশ করে। চিনকে শিক্ষা দিতে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে জাপান। তবে, বেজিংয়ের সব থেকে বড় চিন্তা হংকং। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে হংকং-য়ের পরিস্থিতি আরও উত্তাল হোক, এমন কখনই চাইবে না বেজিং।

চিন পৃথিবীর সব থেকে বড় বন্ধকের কারবারি। সারা পৃথিবীর ৮৮টি দেশ চিনের কাছে টাকা নিয়ে কিছু না কিছু বন্ধক দিয়ে রেখেছে। তারা চিনের কথায় উঠে বসে। এখানে শুধুই পাকিস্তান বা নেপালের কথা বললে হবে না। তালিকায় রয়েছে আরও দেশ। কিন্তু, তাও স্বস্তিতে নেই চিন। পৃথিবীর ১০০টি দেশ চায় উহান করোনা ভাইরাসের বিষয়ে চিনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হোক। ফ্যাসাদে চিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 1 =